
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। শহর ও শহরতলীর সর্বত্র এখন প্রধান আলোচনার বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রæয়ারি মাসের প্রথামার্ধেই হতে যাচ্ছে এমন খবরে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি ফিরেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। শোভাযাত্রাও হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৎপর অনেকে। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভিন্ন কথা বললেও তাদের স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে নেই। দল থেকে, বিশেষ করে বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়। গত শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের সময় নিয়ে এক ধরনের সমঝোতার পর দেশজুড়ে নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুষুম নির্বাচন দেশবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। আগামী ফেব্রæয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না। সুষম নির্বাচন করাটাই এখন অন্তর্র্বতী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনকে ওই সময়ে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য দ্রæত একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় এসে ফেব্রæয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন করার বিষয়টিতে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে—এমন আশা করাও ঠিক নয়। বেশির ভাগ দলের সম্মতিটাই গ্রহণযোগ্য। দলগুলোর সবাই নির্বাচন চায়। তবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং নতুন একটি দল মনে করে, বেশি সময় পেলে তারা তাদের দল গুছিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু তারা যে দল গুছিয়ে নিতে পারবে সে সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। আবার কারো মতে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে সমঝোতার বিষয়টিতে বেশির ভাগ দল সমর্থন জানিয়েছে। তবে ফেব্রæয়ারির প্রথামার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা দরকার। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি গতকাল শনিবার এ বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার একসময় আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছিল। পরে প্রধান উাপদেষ্টা ঘোষণা দিলেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। সব শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। অর্থাৎ আগামী বছর ফেব্রæয়ারির প্রথামার্ধে নির্বাচন হতে পারে। আমার মনে হয়, এ সময়ে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা হবে না। এখন নির্বাচন কমিশনকে ওই সময়ে নির্বাচন করতে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার জন্য এখনো প্রায় ছয় মাস সময় রয়েছে। ফেব্রæয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন হলে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল ঘোষণা হবে। কিন্তু তার আগে জাতীয় সংসদের আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ, দল নিবন্ধন, আরপিও সংস্কার করতে হলে সে বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি, পর্যবেক্ষক নীতিমালা, অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-বিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার এগুলো করতে হবে, করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কিছু কাজ নির্বাচন কমিশন আগেই শুরু করেছে বলে আমরা জানি। ভোটার তালিকা প্রস্তুত প্রায় সম্পন্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, ‘আমার ধারণা, সব দল এখন নির্বাচনমুখী। কয়েকটি দল তাদের প্রার্থীও চূড়ান্ত করে রেখেছে। মাঠ পর্যায়ে সব দলই, বিশেষ করে জুলাই-গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলো জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছে। এ অবস্থায় সঠিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাটাই অন্তর্বতী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। দু-এক মাস আগে-পিছে কিছু আসে যায় না। নির্বাচনটা কেমন হলো সেটাই আসল বিষয়। কারণ একটা নির্বাচনের রেশ অনেক দিন থাকে। নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনেই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীদের মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। তবে নতুন রাজনৈতিক দল এনএসপি ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম নিয়ে মাঠে এগোচ্ছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, সব কটি আসনের সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থীরা জোরালোভাবে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবেও ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে সম্ভাব্য প্রার্থীকে উপস্থিত রাখা হয়। নারায়ণগঞ্জের সবকটি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এই মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে কর্মী সমাবেশ, সভা-মিছিল এবং মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে জনসমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন। একইভাবে জামায়াতে ইসলামের প্রার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সভা-সমাবেশ ও মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ই
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯