আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:৫০

অদৃশ্য কারনে পাড় পেয়ে  যাচ্ছে কিশোরগ্যাং!

ডান্ডিবার্তা | ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট

ক্রমেই আইনশৃংখলা অবনতিতে যাচ্ছে ফতুল্লা মডেল থানাধীন এলাকাটি। প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি, কিশোর গ্যাংদের মাত্রাতিরিক্ত উৎপাত, ভুমিদস্যুতাসহ নানাবিধ অপকর্মের ফলে অসহায়ত্ব বরন করছে সাধারন মানুষগুলো। পুলিশ থাকাবস্থায় সাধারন মানুষের অসহায়ত্ব যেন দেখার কেউ নেই। গত সপ্তাহে পশ্চিম মাসদাইর এলাকার বাড়ৈভোগে কিশোরগ্যাং লিডার ফেরদৌসের কিশোরগ্যাং গ্রুপের অন্যতম সদস্য মাসদাইর বাড়ৈভোগ ফারিহা গার্মেন্টস সংলগ্ন মৃত.দেলোয়ার হোসেন @ দেলুর ছেলে দানিয়েল, বাড়ৈভোগ বটতলা এলাকার সাকু মিয়ার ছেলে শুভ, দক্ষিন মাসদাইর ঘোষেরবাগ এলাকার আলী মিয়ার ছেলে জাহিদ, রমজানের নাতি সাব্বির, মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকার আবুকালামের ছেলে দিপুসহ সঙ্গীয়রা যেভাবে প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি হাবিবুর রহমান রিয়াদের চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ নেতা মো.অনিকসহ তার বন্ধুদেরকে চাপাতি দিয়ে মারাত্মক জখম করে সেই ঘটনায় নামমাত্র ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে চুপসে গেছে থানা পুলিশ। উক্ত ঘটনার আসামীরা মাসদাইরসহ আশপাশ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও থানা পুলিশের দৃষ্টি আসামীরা পলাতক। ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় বসবাসকারীদের ভাষ্যমতে, মুলত মাদকের ব্যাপক বিস্তার থেকেই এ সকল কিশোর গ্যাংদের উৎপত্তি। আবার এলাকা ভিত্তিক কিছু পাতি নেতারা তাদের প্রভাব রয়েছে এ মর্মেও কিশোরগ্যাং এর জন্ম দিয়ে থাকেন। মাদক উদ্ধারের পরিবর্তে উল্টো মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে থানা পুলিশ সদস্যদের সখ্যতা থাকায় মাদক উদ্ধার নয় নিয়মিতভাবে মাসোহারা আদায়ের ফলে সমাজ থেকে মাদক উদ্ধার কিংবা নির্মুলে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। আবার কিছু কিছু এলাকায় সোর্সদের মাধ্যমে থানা পুলিশ মাদক স্পট পরিচালনরাও সংবাদ পাওয়া যায়। পশ্চিম মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকা চিহিৃত মাদক বিক্রেতা ও কিশোর গ্যাং লিডার দানিয়েল ও ফেরদৌসগংরা গুদারাঘাট, ঘোষেরবাগ, খানকামোড়, বটতলা এলাকায় মাদক বিক্রিসহ অপরাধের তান্ডবলীলা চালালেও তা প্রতিরোধে পুলিশের ভুমিকাকে রহস্যজনক বলে দাবী করেন স্থানীয়রা।  আর এ বিষয়ে স্থানীয়দের বিষোদগার রয়েছে ব্যাপক। তাদের অনেকেরই অভিমত পাড়া-মহল্লায় কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা যেসকল তান্ডবলীলা চালায় সেটার কোন প্রতিফলন পায়না স্থানীয়রা। তবে গত ২১ জানুয়ারী ফতুল্লা মডেল থানার প্রবেশ মুখের সামনেই কিশোরগ্যাংদের এমন তান্ডবলীলার ঘটনায় থানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত চুপসে রয়েছে বিষয়টি আসলেই সাধারন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। মাসদাইর এলাকার আবু তালেব জানান, ঘর থেকে বের হলেই দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি, ১২-১৫ বছর বয়সী কিশোরদের দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা যা খুবই ভঅবনার বিষয়। কারন কর্মের সন্ধানে আমরা সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে বাসায় ফিরি। মাঝেমধ্যে বাসা থেকে ফোন পাই যে এলাকাতে দুইপক্ষের মারামারির ঘটনা। চিন্তিত থাকি পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে। আবার প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি সেবনের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে ঘরে বসেই মাদক সেবনের বিশ্রী গন্ধে পেট ফেপে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। কারন তাদের শেল্টারেই নাকি এতসব হচ্ছে। পুলিশী টহল সর্ম্পকে তিনি বলেন, মাঝে-মধ্যে পুলিশের গাড়ি দেখা মিললেও এখনও শুনিনি যে মাদকসহ কোন বিক্রেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। এ যদি সমাজের অবস্থা তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মগুলোকে কিভাবে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো। ফতুল্লা থানাধীন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় দানিয়েল-ফেরদৌস গংদের অতিদ্রুত নির্মুল না করতে পারলে কিশোরগ্যাং ও মাদকের মত ভয়াবহতা থেকে সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে জানান অনেকে। আর এ সকল অপরাধীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তি প্রদান করাটা এখন সকলের দাবীতে রুপান্তির হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা