আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:৪৮

মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে আয়োজিত সমাবেশে সাড়া দেননি স্থানীয় প্রশাসন ডিসি-এসপিতে ক্ষুব্ধ নগরবাসী

ডান্ডিবার্তা | ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নির্বাচনীন প্রচারনায় নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছিলেন প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান। মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি। এমনকি পবিত্র কাবা শরীফ ছুয়েও তিনি ওয়াদা করেছিলেন নারায়ণগঞ্জবাসীকে মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দেওয়ার জন্য। সে লক্ষ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে অরাজনৈতিক সংগঠন প্রত্যাশার উদ্যোগে আয়োজিত মাদকমুক্ত সমাবেশ। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে এত বিব্রত কোনোদিন হইনি। আমার ছোট বোন আইভীর মতো আমি সরাসরি প্রশাসনকে কিছু বলতে পারবো না। উনি বলে ফেলেন। কিছুদিন আগে বলেছেন, প্রশাসন ওখান থেকে টাকা কামায়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর’র নির্বাহী সভাপতি মো: হাতেম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল, স্বচীপ নেতা ডা. আবু জাফর বিরু, জেলা আওয়ামীলীগের সধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, বিসিবির পরিচালন তানভীর আহমেদ টিটু, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন ও নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার দে, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি বুলবুল আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, আহলে সুন্নাত আল জামাতের মাওলানা এহতেশামুল হক প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, নাসিকের কাউন্সিলর, বিভিন্ন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, চিকিৎসক, শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ। শামীম ওসমান বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমরা নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি। অনেকে ভেবেছিলেন এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। পবিত্র কাবা শরিফ ছ্ুঁয়ে এবার আমি ওয়াদা করেছি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিং বন্ধ করব। মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ছাত্রছাত্রীরা এসেছেন এখানে। আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ চাই, একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাই। যখন আমরা শুনি একটা মেয়ের সংসার ভেঙে যাচ্ছে স্বামীর মাদকের কারণে, একটা ১৮ বছরের ছেলে রাত ১২টায় বের হতে পারলেও মেয়েরা পারে না কেন? এই রাস্তায় কি নরপশু থাকে? জীবজন্তু থাকে? আমি জানি আজকের পর থেকে মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করবে। মাদক বিক্রেতাদের ইবলিশ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওরা অনেক শক্তিশালী। ওদেরকে দুর্বল ভাববেন না। আমি কাল নাও থাকতে পারি। অনুরোধ থাকবে আপনারা বিষয়টি চলমান রাখবেন। ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। মাদক থেকেই আসে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং। ৯০টি ওয়ার্ডের সাংবাদিক, আলেম, নারী, শিক্ষকদের নিয়ে একটা করে কমিটি করা হবে। যে মাদক খায় সে অসুস্থ, যে বেচে সে ইবলিশ শয়তান। ২৬ মার্চের আগে এক হাজার করে ভালো মানুষ চাই। এতে ৯০টি ওয়ার্ডে ৯০ হাজার লোক। প্রতিজনের সঙ্গে পরিবারের ৫জন সদস্য যুক্ত হলে সাড়ে ৪ লাখ লোক হয়। লোক আরও বাড়বে। আর এই সাড়ে লাখ লোক যখন একসঙ্গে অনুষ্ঠান করবে। যদি বলে আমরা এখানে কাউকে চাই না। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করবো। তখন কি করবেন? আগের মতো বক্তব্য দিতে চাই না। বয়স হয়েছে। ৬২ বছর বয়সের বক্তব্য দিলাম। ২৬ বছরের বক্তব্যে নিয়েন না। সাবধান। তিনি আরও বলেন, আলেমরা অন্তত জুম্মার নামাজের খুদবার আগে মাদকের বিরুদ্ধে দুই মিনিট কথা বলবেন, শিক্ষকেরা ক্লাস শুরু করার আগে দুইমিনিট কথা বলবেন। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা চাই সাংবাদিকদের কাছে। তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ আছে। যারা মেইনস্ট্রিম সাংবাদিক তারা কখনোই মাদককে সমর্থন করবে না। এরা সবাই চাইলে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস থাকবে না। আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করবো ঢাকা থেকে বড় বড় চিকিৎসক নিয়ে এসে। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, নারায়ণগঞ্জকে মাদকমুক্ত করতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দশীল বলেন, একটি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের পাশাপাশি আধুনিক নগরী গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর। নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপারর্স ওর্নাস এসোসিয়েশনের সভাপতি, হাবিবুর রহমান বাদল বলেন, শামীম ওসমান বলেছিলেন মাদক, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নির্মূলে উনি কাজ করবেন। আমি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আপনার পাশে আমরা আছি। আমি শিক্ষকদের বলতে চাই, প্রতিটি ক্লাসে নৈতিক শিক্ষা দিন। এতে করে ছ্ত্রাছাত্রীরা ভালো কাজ করার প্রেরণা পাবে। আমি যতটুকু জানি বিভিন্ন মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই মাদ্রাসার ছাত্রদের মাদকের প্রবণতা কম। মাদক নির্মূলে শিক্ষকদের বড় সহযোগিতা দরকার। নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার দে বলেন, মাদক বিরোধী যে কোন তৎপরতার সাথে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাব। নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম বলেছেন, আজ নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা দূর করতে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। কিন্তু এই আয়োজনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তারা উপস্থিত থাকলে প্রত্যাশা পূরণ হতো। আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম তা হয়ত পূরণ হবে না। এই জেলায় মাদককে প্রশ্রয় দিচ্ছে কারা। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনেই মাদক বিক্রি করা হয়। এই মাদককে কেন্দ্র করে জেলায় হত্যাকান্ড হচ্ছে। কিন্তু এই মাদককে বন্ধ করার জন্য কোন উদোগ নেওয়া হয় নাই। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা করেছি। কিন্তু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা বন্ধ হয় নাই। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু বলেন, প্রত্যাশার ব্যাপারে এমপি সাহেব বলেছিলেন মাদক, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি নির্মূলে উনি কাজ করবেন। আমি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আপনার পাশে আমরা আছি। আমি শিক্ষকদের বলতে চাই, প্রতিটি ক্লাসে নৈতিক শিক্ষা দিন। এতে করে ছ্ত্রাছাত্রীরা ভালো কাজ করার প্রেরণা পাবে। আমি যতটুকু জানি বিভিন্ন মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাই মাদ্রাসার ছাত্রদের মাদকের প্রবণতা কম। মাদক নির্মূলে শিক্ষকদের বড় সহযোগিতা দরকার। বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, এমপি শামীম ওসমান সুন্দর একটি সমাজ গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি এর জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। উনি এই আয়োজন করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য। অথচ এই সভায় দেখা নাই প্রশাসনের কোন ব্যক্তিবর্গ। তবে আমি বলবো, যারা এসেছেন সমাজ থেকে মাদককে বিতাড়িত করার জন্য তারাই যথেষ্ট। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল বলেছেন, পুরো নারায়ণগঞ্জ আজ এই মাঠে মিলিত হয়েছে। দাবি একটাই মাদকমুক্ত করবো। ১৯৯৬ সালে নারায়নগঞ্জে শামীম ওসমান যখন সংসদ সদস্য হলেন, তখন ওমরাহ হজে যান। কাবা ঘর ছুয়ে শপথ করেছিলেন ২০০ বছরের কলঙ্ক দূর করবেন। তা দূর করতে পেরেছিলেন। এবার তিনি কাবা শরিফ ছুয়ে আল্লাহর নামে শপথ করেছেন, মাদক নির্মুল করবেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু বলেন, ২০০৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কথা দিয়েছি, ২০০৯ সাল থেকে সোনারগাঁয়ে এখন পর্যন্ত ৫ শত মেডিকেল ক্যাম্প গঠন করেছি। যাতে সাধারণ মানুষ সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারেন। তেমনই আজ একেএম শামীম ওসমানের আহবানে আজ আমি কথা দিচ্ছি, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর আসনে প্রতিমাসে মেডিকেল ক্যাম্প করে আপনাদের চিকিৎসা সেবা দিবো। এদিকে নারায়ণগঞ্জে এই প্রথম কোন জনপ্রতিনিধি আলেম ওলামা, সাধারণ মানুষদের নিয়ে মাদক, ইভটিজিং, ভ’মিদস্যুতা ও কিশোরগ্যাং দমনের জন্য প্রকাশে সভা করে জেহাদ ঘোষণা করেন। এ অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া সত্তে¡ও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও প্রশানের কোন কর্মকর্তা এ সভায় অং না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। এ বিষয় নিয়ে সভাস্থল উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাংসদ শামীম ওসমান বিষয়টি সংসদ অধিবেশনে উপস্থাপন করার আশ^াস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, এখানে মাদকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান যা প্রশাসনের করা উচিত। তারা করেনি আবার আসেওনি। কেন আসেননি তারা তার জবাব চান বক্তারা এবং এ ব্যাপারে শামীম ওসমানের পদক্ষেপ চান তারা। তিনি আরও বলেন, আমি অনেক আগেই ডিসি অফিসে জানিয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে যারা আছেন তাদের জানা উচিত আমি শামীম ওসমান। আমি কারও দয়া দাক্ষিণ্যে চলি না। আমি রাজপথে তৈরি হওয়া মানুষ। প্রশাসনের সদস্যরা আসেনি কেন এ প্রশ্ন পার্লামেন্টের অধিবেশনে তুলবো। যারা জনগণের চাকরি করতে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন তারা এখানে আসেনি কেন। এমপি বলেন, আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকারটা আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের মনের জোর বাড়াবো। আমি আনোয়ার ভাইকেও বলেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমার ছোট বোন আইভী হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যাই। নারায়ণগঞ্জের স্বার্থে শামীম ওসমান সবাইকে নিয়ে একসাথে বসার অঙ্গিকার করে বলেন, আমাদের অনৈক্যের সুযোগে বাইরের লোক সুবিধা নিচ্ছে আর নারায়ণগঞ্জেকে ব্যবহার করে নিজের ফায়দা লুটে শহরকে বসবাসের অযোগ্যতে পরিনত করছে। তিনি আরও বলেন, আমি মাথা নত করার মানুষ না। অনেকে অনেক কিছু করেন আমরা দেখি। টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ী, মামলা হয় ফতুল্লা। এগুলো বলতে চাই না। হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরাই ঠিক করবো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা