আজ শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ১১ জিলকদ ১৪৪৬ | সকাল ১১:৩৯

যেভাবে ঘুরে দিদারের ভাগ্যের চাকা!

ডান্ডিবার্তা | ০৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সদর-বন্দর আসনের মহাজোটের এমপি সেলিম ওসমান ডাকতেন বাজান। সেই সেলিম ওসমানকে দিদার খন্দকার ডাকতেন আব্বাজান। সেলিম ওসমানকে পিতা সমতুল্য আখ্যায়িত করে সেলিম ওসমানকে ম্যানেজ করে বন্দর টার্মিনাল ঘাটের পরিচালনার দায়িত্ব পান দিদার খন্দকার ওরফে সিডি দিদার। এক সময় ডিআইটি বানিজ্যিক এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের মার্কেটের নিচে ভিসিডি ক্যাসেট ভাড়া দিয়ে দিন যাবত করা দিদার খন্দকার এখন শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সেই সেলিম ওসমান থেকে এখন জাকির খানের নাম ব্যবহার করে দৈনিক লাখ লাখ টাকা আয় রোজগার করছেন সিডি দিদার। সেলিম ওসমান গেলেও জাকির খানের নামে ভাগ্যের চাকা সচল রেখেছেন সিডি দিদার। স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, ৫ আগস্টের পর বন্দর টার্মিনাল ঘাটটি জোরপূর্বক দখলে নেয় ২০০৭ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাকির খানের গানম্যান খ্যাত দিদার খন্দকার। কিন্তু এই ঘাটের ইজারাদার ছিলেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ও মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান মুন্না। বছর খানিক পূর্বে মুন্না ও সাজনু ইজারা নিয়ে তাদের নিজ লোক দিয়ে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছিল। সেই আমল থেকে দিদার খন্দকারকে সরানো হয়। এর আগে সেলিম ওসমানের নামে ইজারা থাকলে সেলিম ওসমানকে আব্বাজান সম্বোধন করে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব নেয় দিদার খন্দকার। ২০১৪ সালে সদর-বন্দর আসনের তৎকালীন এমপি নাসিম ওনমানের মৃত্যুর পর এখানে এমপি হোন সেলিম ওসমান। সেলিম ওসমানকে ম্যানেজ করে দিদার খন্দকার বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির মাধ্যমে ঘাট পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। বন্দর ঘাটটি দিয়ে দৈনিক লক্ষাধীক মানুষ আসা যাওয়া করে। সে হিসেবে ২ লাখ বার আসা যাওয়া করে। প্রতিবারে ২ টাকা করে ধরলে দৈনিক ৪ লাখ টাকা আয় করে দিদার খন্দকার। এই আয়ের কিছু অংশ সেলিম ওসমানকে দিয়ে বাকিটা দিদার খন্দকার খরচ দেখিয়ে নিজের পকেটে ভরতো। এভাবে সে ৭ বছর ঘাটটি পরিচালনা করে শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। একইভাবে সেই আয়ের টাকায় গড়েছেন দেওভোগে আলিশান বহুতল ভবন। আরো বেশকটি আবাসন ভবনের মালিক হয়েছেন তিনি। গেল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে ৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যদিও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। এবার নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নিজেকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানরা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ এর আগে এলাকায় সেলিম ওসমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ফ্যাস্টুন করে প্রচার প্রচারণা চালাতেন। গত ৫ আগস্টের পর হটাৎ জাতীয় পার্টির রাজনীতি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হোন দিদার। বিএনপির ভুয়া পদ পদবী ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় নামেন। ৫ আগস্টের পর ঘাটের ইজারাদার সাজনু ও মুন্না পালিয়ে গেলে সেখানে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের নাম ব্যবহার করে ঘাট দখলে নেয় দিদার খন্দকার। কিন্তু প্রথমে সাজনু ও মুন্নার কাছ থেকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব পান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। মুকুলকে জাকির খানের নামে হুমকি ধমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব জোর করে দখল করেন সিডি দিদার। দৈনিক ৪ লাখ টাকার বেশি আয় করে জাকির খানের নামে মাসে কোটি কোটি টাকায় পকেট ভারি করছেন দিদার।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা