বন্দরে ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার
বন্দর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাইক্রোবাস চালকে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে ৩টি মোবাইল সেট, নগদ ১২ হাজার টাকা ও মাইক্রোবাসের গাড়ী ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। ওই সময় ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো সোনারগাঁ থানার দুধঘাট এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে সজিব ওরফে (২১) বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার মৃত আব্দুল ছালাম মিয়ার ছেলে ভিকি (৩৩) সোনারগাঁ থানার দাউদেরগা এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে শামীম হাসান ওরফে জগত (২৪) একই থানার ভাটির চর দড়িকান্দী এলাকার মৃত আক্কেল আলী ছেলে রাব্বানী হাসান ওরফে মুন্না (২৭) বন্দর থানার নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত কাদের মিয়ার ছেলে রিজভী হোসেন বাবু (২৮) ও সোনারগাঁ টেঙ্গারচর এলাকার রোস্তম আলী মিয়ার ছেলে রনি (৩৪)। গত বুধবার রাতে বন্দর থানা ও সোনারগাঁ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত গত রোববার রাতে বন্দর উপজেলার দাঁশেরগাঁও এলাকায় এ ডাকাতি ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আহত রেন্টেকার চালক হাজী ইব্রাহিম মোল্লা বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন ডাকাতদলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজীনগরস্থ নয়াপাড়া এলাকার সামছুল হক মোল্লার ছেলে হাজী ইব্রাহিম মোল্লা তার স্ত্রী মালিকানাধীন ঢাকা মেট্রো চ- ১১-৯৫৫০ নাম্বারের একটি নোহা গাড়ী সিদ্বিরগঞ্জের চিটাগাংরোড স্ট্যান্ডে রেন্টেকার মাধ্যমে ভাড়া দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। গত রোববার রাতে বন্দর উপজেলার বন্দর রেললাইন নামক স্থানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ উদ্দেশ্য রওনা হই। পরে ওই রাতে সাড়ে ১১টায় সময় আমার গাড়ীটি বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ডের সামনে আসলে ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাকে পথরোধ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ীসহ চালককে জোর পূর্বক রাত ১১টা ৪০ মিনিটে বন্দর থানার দাঁসেরগাওস্থ জনৈক মোজাম্মেল মিয়ার বাড়ী দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত নামা ডাকাত দল চালককে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে চালককে হাত পা বেঁধে মারধর করে নগদ টাকা, ঘড়ি ও ১টি এনড্রেয়েট মোবাইল ফোন ও ২টি বাটান মোবাইল সেট ও গাড়ী ছিনিয়ে নিয়ে চালকে ফাঁকা জায়গায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি চালক সেখান থেকে কৌশলে হাতের বাধন খুলে পাশের বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। এদিকে বাড়ি মালিকের মোবাইল ফোন থেকে বিষয়টি ৯৯৯এ কল দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চালকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, ডাকাতি ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামী গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রেয়েছে।