আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:০১

বন্দরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অবৈধ তেলের দোকান

ডান্ডিবার্তা | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
নদী পথে তেল চুরির সাথে পাল্লা দিয়ে বন্দরের মহাসড়কেও বেড়েছে দৌরাত্ম্য। বন্দরের মদনপুর – মদনগঞ্জ সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ১০/১২টি তেলের দোকান। নেই যাদের কোন ট্রেড লাইসেন্স, বা টিন সার্টিফিকেট। বন্দর থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ পূর্বক চালাচ্ছে তাদের গাড়ি থেকে তেল নামানোর কাজ। স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারন তাদের মাথার উপর রয়েছে বড় ভাইদের হাত আবার প্রশাসনিক সার্পোট। গত ৫ আগস্টের পর থেকে নামধারী কতিপয় বিএনপি ও যুবদলের কিছু সেচরা নেতাদের নের্ত্বনাধীন ৫/৬ টি তেলের দোকান রয়েছে। বিকেলের পর হতে সকাল পর্যন্ত চলে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড। মদনগঞ্জ -মদনপুর সড়কের কল্যান্দী, কদমতলী, তালতলা, দাসেরগাঁও, ইস্পাহানি, গুকুলদাশের বাগ এলাকাসহ আরো ৩/৪ টি তেলের দোকান রয়েছে। তাদের দেখে গড়ে উঠছে আরো অবৈধ তেলের দোকান। তেল চোরদের সিন্ডিকেটের মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকে প্রশাসনিক বা অন্য কোন সমস্যা হলে তার সলিশন করে। এমনকি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ী চালকদের সাথেও রয়েছে গভীর সর্ম্পক। মহাসড়কে একের পর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠা তেলের দোকান নিয়ে শংকিত সচেতন মহল। নদী পথের মত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থল পথে যেকোন সময় ঘটতে পারে সাংঘর্ষিক কোনো ঘটনা। সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকারি অনুমধন ছাড়াই প্রকাশে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে প্রায় কয়েশত অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বসিয়ে অর্থলোভি ব্যক্তিরা ব্যবসা করছে, প্রশাসন তা দেখেও নিরব। সচেতন মহলের ধারনা অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের ফলে পরিবেশ দূষনসহ বন্দরের বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডের কারন এই জ্বালানি তেলেন দোকান। পেট্রোলিয়াম এ্যক্ট, ১৯৩৪ ও তদধীন প্রনীত বিধিমালার শর্তাবলী অনুসারে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠাকালের অনুমোদিত নকশা বিহীন এবং বিষ্ফোরক লাইসেন্স বিহীন অননুমোদিত স্থানে বা আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেলের ডিপো বা দোকান স্থাপন করা যাবে না। পেট্রোল- ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ণ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতা মূলক। অথচ বন্দরে মোদিদোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলতে এই জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে সাধারন ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এমনকি কোন কাগজপএ ছাড়াই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর বাসস্ট্যান্ড, ফরাজিকান্দা বাসস্ট্যান্ড, কল্যান্দী বাসস্ট্যান্ড, মদনগঞ্জ বাসস্ট্যাান্ড, নবীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড, কলান্দী বাসস্ট্যান্ড, দাশেরগাও বাসস্ট্যান্ড, লক্ষনখোলা বাসস্ট্যান্ড, ধামগড় ইস্পাহানি বাজার, কুরিপাড়া, ফুলহর, মদনপুরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ও স্থায়ী অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান দেখা যায়। এছারাও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা যায় ভূয়া অনুমোদনের ডিলার ও এজেন্ট এর স্টিকার যুক্ত সাইন বোড লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে। অবৈধ দোকান গুলোতে তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও ঝুকিপূর্ণ। মালবাহি ট্রাক, কন্ট্রিনার, প্রাইভেটকার, নসিমন ও বিভিন্ন পন্যবাহী গাড়ীর চালকদের কাছে এই তেলের বেশ কদর রয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ তেলের দোকানগুলোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাবের সাড়াশি অভিযানের দাবী এলাকাবাসী।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা