আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫৮

বন্দরে মা ক্যান্সার রোগি হওয়ায় বাড়ি থেকে বের করে দিল ছেলে

ডান্ডিবার্তা | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে পুরান বন্দর মোল্রাবাড়ি এলাকায় মায়ের ক্যানসার হওয়ায় মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এক কুলাঙ্গার সন্তান। চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে মরছে মা। এমন অভিযোগ অস্থা মা পিয়ারা বেগমের। সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না মা পিয়ারা বেগম। মৃত্যুর পথযাত্রী মা পিয়ারা বেড়ম জানান, তার গর্ভজাত সন্তান জহিরুল ইসলামকে তার বিষয় সম্পত্তি লিখে দেয়ার পর তাকে তার ছেলে ও পুত্রবধূ কাকলী মিলে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন এই বলে তোমার ক্যান্সার হয়েছে তুমি বাড়িতে থাকলে এ রোগ আমাদেরও হবে। পরে মা পিয়ারা তার কন্যার বাসা নবীগঞ্জে গিয়ে আশ্রয় নেন। কান্না জড়িত কন্ঠে মা পিয়ারা বেগম আরো বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর এ সন্তানদের অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষ করেছিলাম জীবনের শেষ বয়সে এসে একটু শান্তিতে বসবাস করব। কিন্ত তা আমার ভাগ্যে জোটেনি। আমার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ডাক্তার বলেলে আমার সময় বেশী নেই। কবে মরে যাই জানি না। ছেলে আমার কোন খোঁজ নেয়না। আমি আমার বাড়িঘর ছেলের নামে লিখে দেয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাকে কোর প্রকার ভরন পোষন দেয়না। অবশষে আমি নিরুপায় হয়ে আদালতের ধ্বারস্থ হই। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে গেলে সে আদালতে আমার ভরনপোষন দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। কিন্তু আমি তো মা আমি তাকে নিজ জিম্মায় জামিন করাই। পরে সে আদালত থেকে ফিরে এসে আমাকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি বন্দর থানা, পুলিশ সুপার সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ কারি যাতে আমার ছেলে আমার খোঁজ খবর নেয়। তাতে আমি কোন প্রতিকার পাইনি। গত রোববার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে ঘরে ঢুকয়ে দিয়ে যাওয়ার পরও আমাকে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার ছেলে আমার উপর এমন অত্যাচার করবে আমি কখনো কল্পরাও করিনি। আমি যত দিনই বেঁছে আমি ততদিন আমার চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু আমাকে আমার ছেলে দেখছে না। তবে আমার ছেলে যেন আমার খোঁজ নেয়। আমার শেষ সময়টুকু আমাকে শান্তিতে মরতে দেয়। এই প্রত্যাশা করি। এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন বিদেশে ছিলাম তখন আমি আমার মায়ের কাছে টাকা দিয়েছি সব টাকা আমার বোনদের দিয়ে দিয়েছে। গত রোববার স্থানীয় শালিসগণ মাকে ঘরে দিয়ে যাওয়ার পর মা নিজেই বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলামের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমি তৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে জাহিরুলের মাকে পারনি। এতে বুঝা যায় তার মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা