আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৪৩

যানজটে নাকাল সোনারগাঁবাসী

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে উদ্ধবগঞ্জ ও পানাম সড়কে একসঙ্গে ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণকাজের কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই যানজটের ফলে কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ৮টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও কার্যত তা মানা হচ্ছে না। সড়কের পাশে সাইনবোর্ড থাকলেও সেটি কোনো কাজে আসছে না। অন্যদিকে, বৈদ্যেরবাজার ও আনন্দবাজার এলাকায় ইকোনমিক জোন ও শিল্প কারখানার কারণে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রাক ও লরি এই পথে চলাচল করে। পাশাপাশি, দুই সড়কে প্রায় এক হাজার অটোরিকশা ও পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া, উপজেলা পরিষদ, থানা, হাসপাতাল ও সোনারগাঁ জাদুঘর এ পথেই অবস্থিত হওয়ায় যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা অত্যন্ত জনবহুল ও বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে বড় বড় মার্কেট, শপিং মল ও উপজেলার সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার অবস্থিত। প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও কাজে এ এলাকায় আসেন। গত এক মাস ধরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। পাশাপাশি, শহীদ মজনু সড়কের জাদুঘরের সামনে পুরাতন সেতু ভেঙে সেখানে নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। আগে শিল্প কারখানার ট্রাক ও লরিগুলো দুটি পথ ব্যবহার করলেও এখন কালভার্ট নির্মাণের কারণে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব যানবাহন মোগরাপাড়া হয়ে বৈদ্যেরবাজার ও আনন্দবাজার এলাকায় চলাচল করছে। ফলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সরু রাস্তার কারণে একসঙ্গে দুটি ট্রাক চলাচল করতে পারছে না, আর অটোরিকশাচালকরা নিয়ম না মেনে ইচ্ছামতো চলাচল করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। ড্রেন নির্মাণের কারণে পুরো সড়কে ধুলোবালি ছড়িয়ে পড়ছে, যা পথচারীদের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীদের বক্তব্য: এ পথে চলাচলরত এক যাত্রী কনিকা বলেন, “প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়। ধুলোবালির কারণে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। দ্রæত এই সমস্যা সমাধান করা দরকার।” একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “অফিসে যেতে প্রতিদিন দেরি হয়ে যায়। যানজটের কারণে মানসিক চাপও বেড়ে গেছে।” একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক মানিক মিয়া জানান, “রোগী নিয়ে বের হলেই বিপদে পড়ি। যানজটের কারণে অনেক সময় জরুরি রোগী নিয়ে দ্রæত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।” মোগরাপাড়া চৌরাস্তার এক কাপড় ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, “ক্রেতারা আসতে পারে না, বিক্রিও কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতি হবে।” স্থানীয়রা দ্রæত সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা