আজ রবিবার | ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ | ৩ মহর্‌রম ১৪৪৭ | বিকাল ৫:১২

দেশবাসীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে আছিয়া

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রায় ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মেনেছে শিশু আছিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দেশবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আছিয়ার মরদেহ দাফনের জন্য হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নিয়ে যাওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ এবং আছিয়ার পরিবারের সঙ্গে মাগুরা যান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আছিয়ার মৃত্যুতে দেশবাসীর সাথে আমরাও শোকাহত। মাগুরার সেই শিশুটি’নিজের নামকে আড়াল করে এখন এটিই যেন শিশুটির পরিচয়। এই তিনটি শব্দবন্ধ দিয়েই অসংখ্য নামের ভিড়েও শিশুটিকে আলাদা করে চিনতে পারা যায়। যেন এই নাম ফুটে থাকা মাধুরীলতার মতো ফুটে আছে সবার চোখের সামনে। এই নামে তাকে চিনে যাচ্ছে গোটা দেশ। হয়তো এই তিনটি শব্দবন্ধ পেরিয়ে গেছে দেশের সীমানাও। শিশুটির বয়স আট। বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার মা। এই শিশুটি এখন আর নেই, সে এখন পেরিয়ে যাচ্ছে পুরো পৃথিবীর আলো। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেছে। অবশেষে মাগুরায় ফিরলো শিশুটি লাশ। তবে জীবিত নয়, তার মরদেহ এসেছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে। গত ৫ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই শিশুটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিল। শেষ পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে। শিশুটির মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারটিতে আরও এসেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা পারভীন, নাগরিক কমিটির নেতা সারজিদ আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং খেলাফত আন্দোলনের নেতা মামুনুল হক। ঢাকায় শিশুটির চিকিৎসাকালীন সময়ে সবসময় পাশে থাকা মা ও মামাও হেলিকপ্টারটিতে মাগুরায় আসেন। মাগুরায় নামার পর মা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ধর্ষণকারীরা আমার মনিরে বেলেট দিয়ে কেটে কেটে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমি ওগের ফাঁসি চাই’। হেলিকপ্টার থেকে মরদেহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শিশুটির গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে, শিশুটির মরদেহবাহী হেলিকপ্টার আসার সময় স্টেডিয়ামে আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। নাগরিক কমিটির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের সময়ে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীদের বিচার কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এমনভাবে এই ধর্ষণের বিচারকার্যক্রম শেষ করতে হবে যাতে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আর কোন মানুষ ধর্ষণের সাহস না দেখায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা