আজ শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ১১ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ২:৫০
শিরোনাম:
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া কোটি টাকার মালামাল লুট    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     পুলিশ কেন আত্মহত্যা করে?    ♦     শেখ হাসিনা গডফাদারদের রক্ষা করতে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছিল    ♦     রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন খালেদা জিয়া    ♦     সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল    ♦     রূপগঞ্জে জমিদার সিটির সাইনবোর্ড গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমান আদালত    ♦     মুসলিমনগর এলাকার জ্বলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন    ♦     বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতির মামলা বাণিজ্যের অডিও ফাঁস    ♦     আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞ: জাকির খান    ♦    

আওয়ামী ক্যাডারদের নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ব্যবসায়ীরা

ডান্ডিবার্তা | ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মাদক ব্যবসা আধিপত্য বিস্তার কিশোর গ্যাং বাহিনীর মহড়া এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছিল ইসদাইর। আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডাররা এভাবেই ইসদাইরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তবে আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডাররা এখনো ইসদাইর এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকলেও প্রশাসন থেকে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গৃহিত না হওয়ায় এখন দেখা যাচ্ছে নিকট আত্মীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের সাথে আতাঁত করে ইসদাইরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সূত্র বলছে, ইসদাইর এলাকায় আওয়ামী সমর্থিত ক্যাডাররা হলেন-ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম, মাসুমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ফতুল্লা ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী ফারুক হোসের শিমুল ও জামান, ইসদাইর রাবেয়া স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপিত ছিদ্দিকুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কিশোর গ্যাং লিডার ইভন, আজমেরী ওসমানের অন্যতম ক্যাডার নাসির, আজমেরী ওসমান এবং তার পতœী পারভীন ওসমানের ক্যাডার নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রুপু। তবে তাদের মধ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম গ্রেফতার হলেও তার এক সময়ের সেকন্ড ইন কমান্ডের দায়িত্ব পালন করা জামান-শিমুল অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছে। ইসদাইর এলাকায় ডিস, ইন্টারনেট, ও ইট বালুর ব্যবসার নামে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করাই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। তবে তাদের বহু অবৈধ কার্যকলাপের শেল্টারদাতা ছিলেন তৎকালীন সাংসদ শামীম ওসমানের পতœী লিপি ওসমান। অপরদিকে ইসদাইর রাবেয়া স্কুলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপিত ছিদ্দিকুর রহমান এক স্কুল কমিটির সভাপতি হওয়ার মাধ্যমে এলাকায় একজন মেম্বার চেয়ারম্যানের থেকেও অধিক প্রভাব বিস্তার করতেন। কেননা এক স্কুল কমিটির সভাপতির অযুহাতে ইসদাইর রাবেয়া স্কুলের স্থাপনাকে শামীম ওসমান তার পরিবারের ছবি দ্বারা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের রূপে পরিণত করেছিলেন। তাছাড়া শামীম ওসমান প্রায়ই স্কুলের যেকোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে ব্যাপক শো অফ করতেন ছিদ্দিক। এভাবে ধীরে ধীরে শামীম ওসমানের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে এমনটা প্রচার করে ইসদাইরের বস্তিতে এক সময়ে গানের আসরের নামে অবৈধ কার্যকলাপ মাদক ব্যবসায়ী থেকে কিশোর গ্যাংদের শেল্টার দিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন। এছাড়া শামীম ওসমানের আর্শীবাদে ইসদাইরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার গার্মেন্টস এবং বিসিক এলাকার ফ্যাক্টরী থেকে ছিদ্দিকের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের নজির ছিল। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদলেদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে ইসদাইরের নিয়ন্ত্রণের রাজত্ব চালালেও তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা শরীফের শেল্টারে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকায় পর্দার অন্তরাল থেকে প্রভাব বিস্তার করছে। তাছাড়া তার ছোট ভাই বিএনপি নেতা শরীফ এবং জসিম এক সময় কিশোর গ্যাং লিডার ইভনের বিরুদ্ধচারণ করে বহু কার্যকলাপ করলেও এখন এই ইভনকে শেল্টার দিচ্ছেন তারা। যার কারণে এখনো ইভন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে কিছুদিন আগেই কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। এছাড়া আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন ঝুট ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, দখল ভূমিদস্যুতা, ডিস ব্যবসা জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণসহ বহু সন্ত্রাসীদের গ্যাংদের দ্বারা ইসদাইরে এক আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছিলেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রূপু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার উপরে হামলা চালায়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হত্যা এবং হত্যার অভিযোগ থাকলেও এখনো ইসদাইরে নিজ বাসভবনে বসে বসে ইসদাইর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করছেন। কিন্তু রূপুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের শাসন আমলে আম্মাজান ভাইজান গ্রæপের ছত্রছায়ায় ইসলাম হার্ট সেন্টারের পাশের একটি স্থাপনা দখল করে অফিস করেন, নারায়ণগঞ্জের বালুর মাঠ এলাকায় ফুটপাত দোকান থেকে শুরু করে শহরের আরোও ব্যবসায়িক জায়গায় চাঁদাবাজি করতেন, বিসিক শিল্প এলাকা কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে আম্মাজান ভাইজান গ্রæপের হয়ে ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতে সন্ত্রাসী কায়দায়, এছাড়া শহর বা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুতা জবরদখলের লিপ্ত থাকতেন। সামা ফিরোজ নামে ইসদাইরে ছিলেন আরেক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী সে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য হয়ে শামীম ওসমানের শ্যালক টিটুর শেল্টারে মাদক ব্যবসা,কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, ইসদাইর বস্তিতে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নেতৃত্বে থাকতেন সামা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা