আজ সোমবার | ৫ মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ৬ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ১০:২৩

বন্দরে যুবককে নির্মম ভাবে কুপিয়ে শরীরে লবন ও মরিচ গুড়া মাখিয়ে হত্যা

ডান্ডিবার্তা | ০১ মে, ২০২৫ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরে রাহিম (২০) নামে এক যুবককে নিশংস ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে লাঙ্গলবন্দ দক্ষিণ বারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রাহিমকে প্রতিবেশী প্রবাসী বিল্লালের বাড়িতে চোর আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে শরীরে লবন ও গুড়ো মরিচ মেখে মাটিতে ফেলে রাখে। সকালে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা বেগতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে নিয়ে ভর্তি করে। গতকাল বুধবার দুপুরে সে চিকিৎসাধিন অবস্থা মারা যায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী হাবিবা আক্তার গুরুতর আহত হয়। তাকে বন্দরের মদনপুর আল বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রাহিমের মা রাশিদা বেগম জানান, প্রতিবেশী মৃত-রহিমউদ্দিন প্রধানের ছেলে ইকবাল গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড় টার দিকে ছেলের ডাক চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে দৌড়ে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখি ছেলের শরীরের কাটা স্থানে মরিচের গুড়া ও লবন লাগানো হচ্ছে। এঅবস্থা আমার চোখের সামনে ইকবাল, রমজান, আমজাদ, মাসুদ, বাধন, সালাউদ্দিন ও শিল্পি সহ ১০/১২ জন মিলে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। আমি এ হত্যার বিচার চাই। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নিহত রাহিম ইট বালু বহনকারী পিকআপ চালক। ইকবালের বড় ভাই বাহরাইন প্রবাসী বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী হাবিব আক্তারের সঙ্গে রাহিমের পরকীয়া এ সন্দেহে তাকে চোর আখ্যা দিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে ইকবাল ও তার পরিবারের লোকজন। প্রবাসী বিল্লালের মা আক্তার বানু জানান, আমি এশার নামাজের সময় আমার ছেলে বিল্লালের বির্ল্ডিয়ের গেইট বাইরে থেকে তালা দিয়ে চাবি আমার কাছে রেখে আমার ঘরে গিয়ে নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাহিম চুরি করার জন্য কখন কিভাবে আমার ছেলের ঘরে প্রবেশ করেছে আমি জানিনা। আমার পুত্রবধুর চিকৎকার শুনে আমি লোকজন ডাক দিলে এলাকাবাসী এসে রাহিমকে গণপিটুনি দেয়। এর বেশী কিছু জানিনা। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ইকবাল তার ভাবিকে বøাকমেলিং করার জন্য রাহিমকে তার ভাবির ঘরে ঢুকিয়ে গভীর রাতে চোর আখ্যা দিয়ে এলাকাবাসীকে জড়ো করে। এ সময় এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়। এসময় হামলাকারীরা রাহিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে শরীরে লবন ও মারিচের গুড়া মাখিয়ে মাটিতে ফেলে রাখে। এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া বন্দরের কামতাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, রাহিমকে চোর আখ্যাদিয়ে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে ফেলে রেখেছিল। আমিসহ আমার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। দুপুরে সে মারা গেছে। এ ব্যপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ওই বাড়িতে চুরির ঘটনার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সম্ভব্য সকলেই পালিয়ে গেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা