
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লার লালখাঁয় কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের ত্রাসের রাজত্ব চলছে। শিল্প অধ্যুষিত এ জনপদে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বসবাস করছেন। এই এলাকার চিহ্নিত কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের কারণে এই পাঁচ লাখ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে ত্রাসের অমানিশা। ফতুল্লার লালখাঁ এলাকাটি যেন এখন আর কোনো বসবাসযোগ্য জনপদ নয়, বরং এক ভয়াল বিভীষিকার নাম। এখানে দিনের আলোতেই রাজত্ব চালাচ্ছে কিশোর গ্যাং ও মাদক কারবারিরা। তথ্যমতে, বেশ কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী প্রকাশ্য দিবালোকে লুটপাট, ছিনতাই, শ্লীলতাহানি ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। চিহ্নিত এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলেন, রামারবাগ এলাকার ফারুক মাদবরের ছেলে রনি, যিনি রামারবাগ ও স্টেডিয়াম এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। লালখাঁ এলাকার কুত্তা কামালের ছেলে কুত্তা রনি, যিনি হত্যা, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। মৃত শুক্কুর মুন্সীর ছেলে পারুল, যিনি শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের ক্যাডার এবং এখনো মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। শান্ত ওরফে রোহিঙ্গা শান্তর ছেলে শাওন ওরফে মাফিয়া শাওন, যিনি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জনু মিয়ার ছেলে রাতুল ওরফে ক্যাডার রাতুল, যিনি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদকসেবনে জড়িত। মৃত ফকির চানের ছেলে সানাল, যুবলীগ ক্যাডার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু। পারুলের ছেলে রাকিব, যুবলীগ সন্ত্রাসী, সজলের ক্যাডার ও বিভিন্ন মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। ফারুক মাতবরের ছেলে ইয়াবা জাহিদ, যিনি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় সক্রিয়। মৃত নুরু মিয়ার ছেলে রোহিঙ্গা শাকিল, যিনি চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত। মৃত সুলাইমানের ছেলে সজীব, কুখ্যাত যুবলীগ ক্যাডার, সজলের ডান হাত; মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত। আনোয়ার মাস্টারের ছেলে ফয়সাল ওরফে পিস্তল ফয়সাল, যিনি ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পরিচিত। আওয়ামী লীগ নেতা ইবু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম, যুবলীগ সন্ত্রাসী ও ধর্ষণ, খুন-খারাবি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত। ইবু মিয়ার আরেক ছেলে সজল, যুবলীগ ক্যাডার, ইয়াবা ব্যবসার ডিলার ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ী। এছাড়া, আবুল হোসেনের ছেলে রিঙ্কু, অনলাইন জুয়ার মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিত। লালখাঁ এলাকার হাজী বাড়ি মোড়, পিটিআই রোড, তক্কার মাঠ, রামারবাগ, স্টেডিয়াম চৌরাস্তা, লালখাঁ খানকা রোড, শেহাচরসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে অঘোষিত সন্ত্রাসের সাম্রাজ্য। গরিব শ্রমজীবীদের কষ্টের টাকা অবলীলায় কেড়ে নিচ্ছে তারা। বেতন পেলেই শুরু হয় টার্গেটিং। মোবাইল, নগদ টাকা এমনকি খাবারের ব্যাগও ছিনিয়ে নিচ্ছে কিশোর অপরাধীরা। নারীরা রাস্তায় বের হলেই হচ্ছে শ্লীলতাহানির শিকার সবই প্রকাশ্য দিবালোকে। লালখাঁতে রয়েছে অসংখ্য শিল্প-কারখানা। প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক এখানে কাজ করতে আসেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। অনেকেই ছিনতাইয়ের ভয়ে কাজে যেতে ভয় পান। ফলে এই জনবহুল এলাকাটি ব্যবসার জন্য ‘ডেথ জোন’-এ পরিণত হচ্ছে। বিস্ময়কর হলেও সত্য এসব অপরাধীর পেছনে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী ‘শেল্টারদাতা’। রাজনৈতিক পরিচয়ধারী কিছু ব্যক্তি ও প্রশাসনের একাংশের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ফলে গ্রেফতার হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে ছাড়া পেয়ে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে তারা। স্থানীয় এক নারী বলেন, “আমার ছেলেকে গ্যাংয়ে ভর্তি করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই বলে ‘দেখে নেব। এলাকাবাসী একবাক্যে বলছেন“আমরা পুলিশ চাই না, আমরা শান্তি চাই। যে পুলিশ ধরে আবার ছেড়ে দেয়, সেই পুলিশ না থাকলেই ভালো।” লালখাঁ এখন রীতিমতো বারুদের স্তূপ। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়বে পুরো ফতুল্লা, এমনকি নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়েও। দ্রæত র্যাব-পুলিশের সমন্বিত অভিযান, শেল্টারদাতাদের নাম প্রকাশ ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী এখন জেগে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে প্রশাসন জাগবে কবে?
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯