আজ বৃহস্পতিবার | ৮ মে ২০২৫ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ৯ জিলকদ ১৪৪৬ | রাত ১:১২

তোফার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

ডান্ডিবার্তা | ০৭ মে, ২০২৫ | ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
তরুণদলের জেলার সভাপতি পরিচয়দানকারী সিদ্ধিরগঞ্জের টিএইচ তোফার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত শনিবার দুপুরে টিএইচ তোফ হিরাঝিল ৩নং রোডের শেষ মাথায় বাহারাই প্রবাসী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সেলিমের জমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে তোফা। সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এর নির্দেশে এ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তোফা। মোটা অংকের চাঁদা জন্য তোফা এ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন বলে স্থানীয়রাও নির্মাণ শ্রমিকরা জানায়। তোফার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ও নির্মাণ শ্রমিকদের ধাওয়া খেয়ে তোফা পালিয়ে আত্ম রক্ষা করেন বলে জানায় স্থানীয়রা। তোফার চাঁদাবাজি দখলবাজি, ফিটিংবাজিসহ একাধিক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তোফাকে গ্রেপ্তার না করায় উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। দিন দিন তোফা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার একটাই কাজ চাঁদাবাজি দখলবাজি, ফিটিংবাজি। ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গ্রæপ রয়েছে এই চাঁদাবাজ তোফার। ইতিমধ্যে তোফার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের খবর কেন্দ্রীয় কমিটি অবগত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ৫ কার্যদিবসে তোফার অনৈতিক কর্মকান্ডের রিপোর্ট তদন্ত কমিটি কেন্দ্রীয় তরুণদলের নেতৃবৃন্দের কাছে পেশ করার নির্দেশনা রয়েছে। স্থানীয়রা জানায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তোফার নেতৃত্বে তার চাঁদাবাজ বাহিনী নিয়ে চিটাগাংরোড, ও হিরাঝিলে ঘুরে বেড়ায়। তার একটাই কাজ ২০ হাজার- ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ফুটপাতে দোকান বসানো এবং দোকান প্রতি দৈনিক ২০০-৩০০ করে চাঁদা কালেকশন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিরবে তোফার চাঁদাবাজি সহ্য করে যাচ্ছে। কারো কাছে বলতেও পারছেনা ভুক্তভোগীরা। কারণ তোফার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খুললে সাথে সাথে তার দোকান আর ফুটপাতে থাকবেনা। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে এই তোফা হাজী আহসান উল্যাহ সুপার মার্কেটের মালিক হাবিবুলাহ হবুলের চাঁদা কালেকটর হিসেবে কাজ করতো। আওয়ামীলীগের সময়েও তোফা চাঁদাবাজি করছে এখনো সে চাঁদাবাজি করছে। এখন আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হচ্ছেনা। কারণ আগে হবুলকে চাঁদা কালেকশন করে দিয়ে কিছু অংশ নিজের পকেটস্থ করতো। আর এখন চাঁদার ভাগ কাউকে দেওয়া লাগেনা সবটাই তার পকেটে যায়। চিটাগাংরোডের মুরগী পট্রি থেকে শুরু করে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তার বসানো দোকান রয়েছে কমপক্ষে ৫০ টি। প্রতিটি দোকান বসানো বাবদ এককালীন চাঁদা নিয়েছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার করে। শিমরাইলমোড়ের দক্ষিণপাশে ডিএনডি পাম্প হাউজ থেকে মিনার মসজিদ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দোকান তোফা উঠিয়ে দিয়েছে। কারণ দোকান বসাতে হলে তাকে দোকান প্রতি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার করে টাকা দিয়ে বসাতে হবে এবং দৈনিক ভিত্তিতে ও চাঁদা দিতে হবে। এ অবস্থায় দোকানীরা পড়েছেন বিপাকে। তার মূল কোন বৈধ ব্যবসা বাণিজ্য নেই চাঁদার টাকায় চলে তার জীবন। মহাসড়রে ফুটপাত এর পাশাপাশি এখন হিরাঝিলের দিকেও তোফা নজর দিয়েছে। হিরাঝিলের প্রতিটি অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে করে যারা ফলমূল, সবজিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করছেন তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। গত কয়েক দিন আগে তোফা হিরাজিলের সকল অলিগলি থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়ে নিজের সক্ষমতা ও শক্তির জানান দিয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোন উপায় না পেয়ে ভ্যানগাড়ি প্রতি ১৫ হাজার ২০ হাজার করে চাঁদা দিয়ে আবারও দোকান বসায় হিরাঝিলের প্রতিটি অলিগলিতে। এভাবে হিরাঝিলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়েিদর কাছ থেকে গোপনে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তোফা। এছাড়া দোকানীদের বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করছে। বিচার আচারের নামেও হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। কাকডাকা ভোরে তোফা সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে চলে আসে চিটাগাংরোডে। চষে বেড়ায় দিনভর। গভীর রাত পর্যন্ত বিচরন করে চিটাগাংরোড ও হিরাঝিল এলাকায়। তার মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য চাঁদাবাজি। জেলাি বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে ভুক্তভোগীদের নিরব কান্না তোফার চাঁদাবাজি বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক তার বিরুদ্ধে যেন দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় যাতে কেউ আর এভাবে চাঁদাবাজি করার সাহস না পায়। তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব ও ডিবি পুলিশের প্রতিও উদাত্ত আহবান ও অনুরোধ জানিয়েছেন তোফার নিরব চাঁদাবাজির বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে তোফাকে যেন তার বাহিনীসহ আইনের আশ্রয় নেয়া হোক।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা