কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য ৭০ হাজার টাকা!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ৭০ হাজার টাকায় ধামাচাপা দিয়েছে বলে স্থানীয় মাতবরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড গোয়ালদী এলাকায় এড. বিপুল ভূঁইয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষক, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৪৬) গোয়ালদী চক্ষু হাসপাতালের পশ্চিম পাশ এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে। ধর্ষণের এ ঘটনার ৪ দিন পর গত সোমবার রাতে ধর্ষীতার পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয় স্থানীয় মাতবর মোজ্জামেল, বিপুল ভূঁইয়া, মাহিন, আফজাল, হযরত আলী ও বাদল। বাকী ৩০ হাজার টাকা মাতবরদের পকেটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁও পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড গোয়ালদী এলাকায় এড. বিপুল ভূঁইয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া স্বামী-স্ত্রী পাশ্ববর্তী ফ্রেশ কোম্পানীতে চাকরি করে। প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার রাতে দুই শিশু সহ কিশোরী কন্যাকে বাসা রেখে নাইট ডিউটি চলে আসেন স্বামী-স্ত্রী। ওই রাতেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাসা থেকে বাহিরে বের হয় কিশোরী। এসময় পাশ্ববর্তী সিরাজ কিশোরী কন্যাকে তুলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে। কিশোরীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক সিরাজ পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মামলা না করতে মা বাবাকে চাপ সৃষ্টি করে স্থানীয় মাতবর মোজ্জামেল, বিপুল ভূঁইয়া, মাহিন, আফজাল, হযরত আলী ও বাদল। ধর্ষীতার মা জানান, আমরা ভাড়া থাকি। স্থানীয় লোকজন বিরুদ্ধে মামলা করলে এখানে থাকতে দিবেনা বলে মামলা করতে সাহস পায়নি। জরিমানা বাবদ ৪০ হাজার টাকা পেয়েছি।