আজ রবিবার | ২৫ মে ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ২৬ জিলকদ ১৪৪৬ | সকাল ৭:১৭

বন্দরে অস্থায়ী পশুর হাট নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা

ডান্ডিবার্তা | ১২ মে, ২০২৫ | ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের কুপরিকল্পনায় সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড এলাকায় কোরবানি পশুর হাট বসানো কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এক আনোয়ারের কুটচালে পরে বিএনপির একাধিক গ্রæপের উত্তেজনা যে কোন মুহূর্তে সংঘর্ষের রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন জামাল উদ্দিন গ্রæপের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের ছোট ভাই হলেও তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর তাকে সকল কাজে সহযোগিতা করতেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন একাধিক হত্যা মামলার আসামি অহিদুজ্জামান অহিদ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পর পালিয়ে যান অহিদুজ্জামান অহিদ। আর অহিদুজ্জামান অহিদ এর ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতো ফুলহর এলাকার পাইছার ছেলে মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান পালিয়ে গেলেও এলাকায় রয়ে গেছেন মোমেন। বর্তমানেও তিনি অহিদুজ্জামানের সকল ব্যবসা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছে। অহিদুজ্জামানের হাত থেকে যুবদলের রাজনীতি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ছিলেন মোমেন মিয়া, আবার অহিদুজ্জামানের পরামর্শে বর্তমানে আবারো আওয়ামী লীগ থেকে নব্য বিএনপি বনে গেছেন। বিএনপি সেজে অহিদুজ্জামান অহিদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে মোমেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই আনোয়ার হোসেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরো জানা যায়, মোমেন ছিলেন অহিদুজ্জামানের অহিদের সহযোগী এবং মোমেনের চাচা শফিউল্লাহ মাচ্ছারঙী ছিলেন নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের অন্যতম সহযোগী। আজমেরী ওসমানের হয়ে মদনপুর এলাকায় সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ করতো এই শফিউল্লাহ। চাচা ভাতিজা মিলে মদনপুরে কায়েম করেছিলো ত্রাসের রাজত্ব। বর্তমানে মোমেন বিএনপি সেজে চাচা শফিউল্লাহকেও শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড এলাকায় আনোয়ার হোসেনের জমিটি মানিক নামের একজনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। মাসে ৪০ হাজার টাকা ভাড়ায় ১০ বছরের জন্য মানিক মিয়াকে জমিটি ভাড়া দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে মানিক মিয়া উক্ত স্থানে চাপাতলী পিকআপ স্ট্যান্ড নামে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড পরিচালনা করছেন। একজনের কাছে জমি ভাড়া দেওয়া অবস্থায় উক্ত স্থানে মোমেনকে কোরবানি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মানিক মিয়া জানিয়েছেন জমিটি আমি আনোয়ার হোসেন থেকে ভাড়া নিয়েছি। আমার কাছ থেকে মাসিক হিসেবে ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিন্তু এখানে হাট বসানোর ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। যদি উনি এই জায়গায় হাট বসানোর অনুমতি দিয়ে থাকে তাহলে সেটা অন্যায়। এখানে এতো গুলো ট্রাক থাকে বললেই তো আর সরিয়ে ফেলা যাবেনা। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন জানান, গরুর হাট করার কথা মোমেনসহ কয়েকজন বলার পর অনুমতি দিয়েছি। এলাকার ছেলেরা যদি হাট করে কিছু টাকা পায় সেদিক বিবেচনা করে। জায়গায় হাট করার অনুমতি দিয়ে যে যন্ত্রণা পোহাতে হবে তা চিন্তাও করিনি। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে অহিদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন ও ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে এমন প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন মৃদু হেসে বলেন, হাটের জায়গার বিষয়টি নতুনভাবে চিন্তা করে বন্ধ করে দিতে পারি। মোমেন বিএনপি করে শুনেছি, তাদের মধ্যেই গ্রæপের শেষ নেই। আবার যদি অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে সেখানেও যন্ত্রণা। গত শনিবার বিএনপির নেতা হিরণ ফোন করেছে, বাদল, শাহিন ফোন দিয়েছিল। এম জামাল উদ্দিন হাটের জন্য জায়গার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যা, জায়গার বিষয়টি অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে। একজনের কাছে ভাড়া দেওয়া জমি কিভাবে হাট বসানোর জন্য তিনি অনুমতি দিতে পারেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই ট্রাক স্ট্যান্ডের জমির পূর্ব পাশের জায়গায় হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলছেন জামাল উদ্দিন গ্রæপের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের জমি আমরা চাইনা কোন হাট বসুক। আর আনোয়ার অনুমতি দেওয়ার কে? মৌখিক ভাবে কাকে অনুমতির কোন ভিত্তি নেই। বিষয়টি আমি দেখতেছি। এদিকে আনোয়ার হোসেনের জমিতে হাট বসানোর জন্য অনুমতি চাওয়া আরেক বিএনপি নেতা শাহিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বলে হাটের জন্য আবেদন করেছি দুই একদিনের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাবো। এদিকে মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, এই হাটের বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার কথা আমরা শুনছি। বিগত দিনে আমরা ফ্যাসিস্টের জুলুম নির্যাতনের জন্য বাড়িতে পর্যন্ত ঘুমাতে পারিনি। এখন দলের সুসময়ে এসব নব্য বিএনপি পয়সা হয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দোসরদের প্রেত্মাতাদের সাথে আঁতাত করে পশুর হাটের ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। এসবের জন্য আমরা দলে ত্যাগ শিকার করেনি। কিন্তু এসব বিষয় আমরা কোথায় গিয়ে বলবো আমাদের উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ সাহেব নিজেও দলের বদনাম করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ পত্রপত্রিকায় ফেসবুকে প্রকাশিত হচ্ছে। বন্দর উপজেলা এলাকায় বিএনপি এখন টাকা কামানোর মেশিন বানিয়ে ফেলছে এরা।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা