না’গঞ্জে জাপার বাতি জ¦লেনা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের রাজনীতি নারায়ণগঞ্জে পরিচালিত হত উত্তর-দক্ষিণ মেরুতে বিভক্ত হয়ে। এরমধ্যে উত্তর মেরুর ওসমানরা দেশত্যাগ করতে সক্ষম হলেও দক্ষিণ মেরুর নিয়ন্ত্রক সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার হন। আইভীর গ্রেফতারে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব নিশচিহ্ন হলেও উত্তর মেরুর ওসমান পার্টি এখনো বহাল। মূলত, উত্তর মেরু পরিচালিত হত ওসমান লীগ এবং ওসমান পার্টির মাধ্যমে ওসমান লীগ অর্থাৎ আওয়ামীলীগকে উত্তর মেরু থেকে এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতেন শামীম ওসমান এবং ওসমান পার্টি জাতীয় পার্টিকে উত্তর মেরু থেকে এই সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন শামীম ওসমানের মেজ ভাই সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমানের বন্ধু লিয়াকত হোসেন খোকা। তবে আইভীর গ্রেফতার এবং আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব হারালেও নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী সাম্রাজ্য ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ওসমান পার্টি অর্থাৎ জাতীয় পার্টি এখনো বহাল। কারণ ওসমান পার্টির পৃষ্ঠপোষক সেলিম ওসমান আত্মগোপনে থাকলেও পর্দার অর্ন্তরাল থেকে কলকাঠি নাড়ছেন এবং লিয়াকত হোসেন খোকা রাজনীতি বাঁচাতে প্রকাশ্যে জাতীয় পার্টির ব্যানারে ঢাকায় জাপার চেয়ারম্যানের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে করে যাচ্ছেন। এছাড়া জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা বীরদার্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সূত্র বলছে, গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক সিটি মেয়র আইভী গ্রেফতার হলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতি অস্তিত্ব হারায় এবং গত ১০ মে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিচিহ্ন হয়। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হলেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর অপর একটি অংশ ওসমান পার্টি অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টি নেতারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার মামলা থাকলেও এখনও আত্মগোপন এবং প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সূত্র বলছে, ওসমান পার্টির অন্যতম নিয়ন্ত্রক সেলিম ওসমান ঢাকায় অবস্থান করে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায় সেক্টরগুলোতে পর্দার অর্ন্তরাল থেকে এখনো কলকাঠি নারার খবর শহরজুড়ে চাউর রয়েছে। এদিকে ওসমান পার্টির আরেক নিয়ন্ত্রক লিয়াকত হোসেন খোকা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকায় থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সাথে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া পর্দার অর্ন্তরাল থেকে এখনো ওসমান পার্টিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে এই দুই নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের ছাত্র জনতার উপর হামলা হত্যা এবং হত্যা চেষ্টা অভিযোগ থাকলেও তাদেরকে প্রশাসন ছুতে পারছে না। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু,সাধারণ সম্পাদক নাইম ইকবাল,মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল,সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ভাওয়াল রিপন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি রুপু সবুজদের উপরও জুলাই আন্দোলন ছাত্র জনতার উপর হামলা হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ থাকলেও প্রায়ই তাদের দেখা যায় প্রকাশ্যে এবং নিজস্ব এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া তাদের উপর প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে। যার কারণে সহজেই অনুমেয় করা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জে অস্তিত্ব হারালেও তাদের সহায়ক জাতীয় পার্টি বহাল তবিয়তে রয়েছে।