আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:৫৪

ছাত্রদলের দুই নেতাকে আ’লীগের মামলায় আটক

ডান্ডিবার্তা | ১৮ মে, ২০২৫ | ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুই নেতাকে সন্দেহজনক আটকের পর আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হৃদয় ও মিঠুনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রূপগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালানোর নামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করছে। পরে আটকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করে বিভিন্ন পেনডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করছে। ইতিমধ্যে বাগবেড় এলাকার রুহুল আমিনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় ও পরে আরো একটি মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে প্রেরণ করে। মুড়াপাড়া এলাকা থেকে রফিকুল নামে আরেক যুবলীগ নেতাকে আটক করে ২ লাখ টাকা নিয়ে থানা পুলিশ বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। একই কায়দায় রূপগঞ্জের বহু নেতাকর্মীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গত শুক্রবার রাতে রূপগঞ্জের মাহনা এলাকার হেফাজল মিয়ার ছেলে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মিঠুন (৩৫), আকতার মিয়ার ছেলে ছাত্রদল নেতা মো. হৃদয় (২৮) কে সেনা সদস্যরা আটক করে। পরে তাদের সন্দেহজনক আটক করা হয়েছে মর্মে রূপগঞ্জ থানায় সোর্পদ করে। পরে পুলিশ ছাত্রদলের ওই দুই নেতা হৃদয় ও মিঠুনকে রবিন টেক্স গ্রæপের উচ্ছৃঙ্খল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসেবে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এ সময় তাদের ৭দিনের রিমান্ডও চাওয়া হয়। আটক হৃদয়ের মামা দিল মোহাম্মদ জানান, পুলিশের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বানানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। অথচ হৃদয়ের নেতৃত্বে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী বিএনপির রাজনীতি করছে। রূপগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।
রূপগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগে হৃদয় ও মিঠুনকে সেনা সদস্যরা আটক করে পুলিশে দেয়। রবিন টেক্সের হামলায় ঘটনায় তারা জড়িত ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা