আজ রবিবার | ২৫ মে ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ২৬ জিলকদ ১৪৪৬ | সকাল ৬:৩৮

নবীগঞ্জ গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা

ডান্ডিবার্তা | ২৪ মে, ২০২৫ | ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষিকা সাময়া খানম (৪৭) এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা (গনিত) উম্মে সালমা। অর্থ আত্মসাৎ, প্রতরণা, নথি জালিয়াতির অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বন্দর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইফফাত আরা, সহ ম্যানেজিং কমিটি সাবেক সদস্য ও শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে মোট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর অভিযোগ তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এমপিও কপিতে ডেজিগেগ্রশন স্ট্যাটাস রেগুলার ছিলেন। কিন্তু বিবাদী সাময়া খানম তাকে উপ-পরিচালকের কাছে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে রেগুলার থেকে সেকশনাল করে দেন। এ ঘটনায় উম্মে সামলা ২০২৩ সালের ১২ মার্চ মহাপরিচালকের কাছে দরখাস্ত দিলে, মহাপরিচালক সেটি উপ-পরিচালককে তদন্তের নির্দেশ দেন। উপপরিচালকের তদন্তে বিবাদীর দেখানো কাগজপত্র এবং বাদীর দেখানো কাগজপত্রের মধ্যে গড়মিল দেখা যায়। কিন্তু উপ পরিচালক বিবাদী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে একটি ত্রæটি পূর্ন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। বাদী ওই প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়ে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর পূনরায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিলে বিষয় উপ বিদ্যালয় পরিদর্শক মো. আরিফুল হককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি সরেজমিনে তদন্তে আসেন আরিফুল হক। তদন্তে তিনি প্রধান শিক্ষিকা সায়মা খানমের উপস্থাাপিত কাগজপত্রে ব্যাপক অনিয়ম পান। তদন্ত শেষে ১১ ফেব্রæয়ারি তিনি তদন্ত প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে জমা দেন। ২০২৪ সালের ১৪ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড স্কুলের তৎকালীন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিকট দফা ওয়ারি ব্যাখা চায়। সেই সাথে উম্মে সামলাকে সেকশনাল থেকে রেগুলার করাসহ বকেয়া পাওনা ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৫টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে বোর্ড থেকে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল পুনরায় পাওনা পরিশোধের চিঠি দেওয়া হলেও সায়মা খাতুন সেটি এডহক কমিটিকে অবগত না করে গোপন করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি এডহক কমিটির সভাপতিকে জানানো হলে ২০২৫ সালের ২০ মে বিবাদীকে এডহক কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। বর্তমানে সায়মা খানম বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিদায় বাদী উম্মে সালমা ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের মামলাটি দায়ের করেছেন। নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষিকা সাময়া খানম জানান, আমি মামলার বিষয়ে অবগত নই, কেনো মামলা করেছে তাও জানি না। উম্মে সালমা শিক্ষিকা অসুস্থ্য জনিত কারণে সভাপতি মহোদয়ের কাছে ৪ দিনের ছুটি নিয়েছে কিন্তু কেনো মামলা টা করেছে আমি এই বিষয়ে কাগজও পাইনি এবং জানি না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা