বেপরোয়া গতি রোধে তৈরি স্পিড ব্রেকার এখন ভোগান্তির কারন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নগরীতে নির্বিঘেœ যান চলাচলের লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশও কাজ করে চলেছে কিন্তু অবৈধ অটোরিক্সার অনুপ্রবেশের কারনে যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে নগরবাসীর। শহরের মূল পয়েন্টগুলোতে প্রতিনিয়ত জ্যাম ঠেলে মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় অটোরিক্সার বেপরোয়া গতিকে নিয়ন্ত্রনের জন্য রাস্তার মোড়গুলোতে দেওয়া হচ্ছে স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক। কিন্তু ইদানিং সময়ে দেখা যাচ্ছে নগরীর অলি গলিতে স্পিড ব্রেকারের মাত্রা যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় অটোরিক্সার বেপরোয়া গতির কারনে প্রায় সময় মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। যার হাত থেকে বাঁচার জন্য দেওয়া হচ্ছে স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক। কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় এই স্পিড ব্রেকারের মাত্রা এত বেশী যে সেটা ভোগান্তির আর বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। নগরীর বালুর মাঠ ও ক্রিড়া সংগঠক মরহুম আকসির সাহেবর বাড়ির সড়কটিতে কলেজ রোড এলাকা শহরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। অত্র এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ সহ কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীও চলাচল করে। কিন্তু এই এলাকায় কিছুদিন পূর্বেও হাতেগোনা দুই থেকে তিনটি স্পিড ব্রেকার থাকলেও বর্তমানে এর সংখ্যা অনেক বেশী। ১৫/২০ ফুট পর পর একটি করে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়েছে। ঐ দুটি সড়কে প্রায় ২০টির মত স্পিড ব্রেকার রয়েছে। যার ফলে অটোরিক্সা, হোন্ডা, প্রাইভেটকার সহ অন্য যেকোন যানবাহন চলাচলে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এই সড়ক দুটিতে চলাচলরত সাধারণ মানুষের প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে এত বেশী স্পিড ব্রেকার দেওয়ার কারন কি। এর পিছনে কি কোন যুক্তিসংগত কারন রয়েছে? যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা কি। আর নয়তো এতগুলো স্পিড ব্রেকার এই সড়কে কোন প্রয়োজন নেই। অটোরিক্সা, হোন্ডা বেপরোয়া গতিতে চালানো বন্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু মানুষের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। কারন প্রতিটি স্পিড ব্রেকার পার হওয়ার সময় যে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয় তাতে করে মানুষকে শারীরিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে হয়। তাই সাধারণ জনগণের দাবী, বেপরোয়া গতি রোধে স্পিড ব্রেকারের বিকল্প নেই কিন্তু একটি সড়কে কতগুলো স্পিড ব্রেকারের দরকার সেটা যেন প্রশাসন ঠিক করে দেয়।
ই-