আজ শনিবার | ৩১ মে ২০২৫ | ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ৩ জিলহজ ১৪৪৬ | দুপুর ২:৩৪

মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা বছর জুড়েই চলে মেরামতের খেলা

ডান্ডিবার্তা | ২৭ মে, ২০২৫ | ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দরের মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটি সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা আর যানজট লেগেই থাকে। সকটিতে বড় বড় গর্ত আর বিভিন্ন স্থানে টিউমারের মত অবস্থায় যানবাহন চলাচল একেবারেই অনুপযোগি তবু নিরুপায় হয়ে এ বেহাল সড়ক দিয়ে চলতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। প্রতি বছরই সংস্কারের নামে নাটক হচ্ছে। কিছু দিন পর পর দেখা যায় কিছু অংশ সামাস্য খুঁড়াখুড়ি করে ইটের গুড়া ফেলে উপরে পিচের প্রলেপ দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর এ সংস্কারের ্ক দিন পরই আবার সে সকল স্থানে টিউমার আকৃতি ধারণ করছে। মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ পর্যন্ত পওরো সড়কটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। কিছু জায়গায় এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক যেন মৃত্যু কুপ। এই বিষয়ে বন্দর নাগরিক কমিটি (বনাক) এর সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল কবির সোহেল দৈনিক বলেন, একটি সড়ক নির্মাণ করার একটি নির্দিষ্ট সময় পর ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মেরামত করা হবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই মেরামত বা সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যা যতদিন রাস্তা আছে ততদিনই চলতে থাকবে। কিন্তু এই সংস্কার বা মেরমতেরও একটি স্থায়িত্ব আছে। অর্থাৎ সেই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করা যানবাহন এবং মেরামতের কৌশলের উপর নির্ভর করে সড়কটি কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে তার একটি আনুমানিক সময়সীমা থাকে। কিন্তু মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কে এসব সকল নিয়মকানুনের গন্ডি পেরিয়ে সড়ক ও জনপথের সংস্কার সংস্কার খেলায় বন্দরবাসী অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এই রাস্তা ভাঙ্গা থাকে। আবার প্রতিবছরই দু’একবার মেরামত করতেও দেখা যায়। কিন্তু সড়ক ও জনপথের এমন দক্ষ প্রকৌশলীরা কেন এই বিষয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোন সমাধানে যেতে পারছে না তা খুবই রহস্যজনক। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বলেন, এই সড়কটির কয়েকটি জায়গা ক্র্যাক করেছে এগুলো আমাদের হেডকোয়ার্টার থেকে একটি টিম এসে দেখে গেছে। বিয়টি পর্যালোচনা করে ওনারা যে নির্দেশনা দিবে আমরা সেই অনুযায়ী দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করবো। হেডকোয়াটারের টিম পরিক্ষা-নিরীক্ষা করতেছে। তারা যে রিপোর্ট প্রদান করবে, আমরা তার উপর ভিত্তি করে বড় কাজটি করবো। এই বিষয়ে আমাদের প্রক্রিয়া চলমান আছে। তিনি আরো বলেন, এ সড়কটি বেশি ক্ষতি হচ্ছে সেসব জায়গার দুইপাশে পুকুর বা ডোবা আছে। সেই পুকুরের পানির কারণে সড়কটির নিচের বেজ অনেকটা ভিজে থাকে। তাছাড়া বন্দরের এই সড়কটি দিয়ে বেশ কয়েকটি সিমেন্ট কারখানার ভারি ভারি যানবাহন চলাচল করে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে মিটিং করেছি এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখেছি। যাতে করে এই সড়ক দিয়ে এসব কারখানাগুলো তাদের অনুমোদনের অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করতে না পারে। এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ এর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এই বিষয়ে কোন লিখিত আবেদন করার প্রয়োজন নেই। আমরা সড়কটির কাজ নতুনভাবে করছি। খুবই শীঘ্রই আপনাদের কষ্ট লাগব হবে। আমাদের মেজারমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু এই রাস্তাটি এতো হেভি গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত ছিলো না। কিন্তু তারপরও হেভি গাড়িগুলো চলছে এবং এগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই এই বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা কি করা যায় সেই বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। এই রাস্তাটাকে কিভাবে হেভি গাড়ির উপযোগী করা যায় সেই হিসেবে মেজারমেন্ট নিয়ে গেছে। মন্ত্রনালয় এই প্রজেক্টটা অনুমোদন দিলে কত টাকা লাগবে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করবে। এই সড়কটির দীর্ঘস্থায়ী একটি সমাধানের জন্য আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা