আজ শুক্রবার | ৬ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ৯ জিলহজ ১৪৪৬ | বিকাল ৪:৩০

সোনারগাঁয়ে অস্তিত্বহীন দুই খালে কালভার্ট নির্মাণে ব্যয় ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা

ডান্ডিবার্তা | ৩১ মে, ২০২৫ | ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ উপজেলার সাহাপুর ও দিঘিরপাড় এলাকায় এক সময়ে খরস্রোতা খাল ছিল। নৌকাযোগে মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা করতেন। কিন্তু দু’পাশ বালু ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ করায় খালটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। এমন স্থানে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি কালভার্ট। এতে সরকারের টাকা গচ্চা যাবে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় সাহাপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, সাহাপুর এলাকায় যেখানে কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে, সেখানে এর প্রয়োজনীয়তা নাই। দু’পাশে বালু ভরাট করে খাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাল উদ্ধার করে কালভার্ট হলে এলাকাবাসীর উপকারে আসত। পৌর এলাকার বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে দিঘিরপাড় ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাহাপুর এলাকায় কালভার্ট দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ দুটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহŸান করেন। হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে ৯৭ লাখ টাকায় কালভার্টের কাজ শেষে হয়েছে। ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় সাহাপুর এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে। জানা গেছে, ঠিকাদারি হাসমত অ্যান্ড ব্রাদার্স কালভার্ট দুটির নির্মাণকাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিমের ভাষ্য, সড়কের শ্রেণি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। আগেও একই জায়গায় কালভার্ট থাকার কারণে জায়গাটিতে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার পরও প্রায় কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। এর পরিবর্তে সেখানে সংযোগ সড়ক করা হলে মানুষের কাজে আসত বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। স্থানীয় দিঘিরপাড় গ্রামের আবু সাঈদ মিয়ার ভাষ্য, ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা খরচ করে কালভার্ট নির্মাণ না করে মাটি ফেলে সড়কের সংযোগ দিলেই হতো। বড় বাজেটে বড় চুরি করতে এখানে কালভার্ট নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, খাল না থাকার বিষয়টি বিবেচনা করেই দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে আগে কালভার্ট থাকায় একই জায়গায় নতুন করে নির্মাণের কাজ চলছে। কারণ সড়কের শ্রেণি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। এভাবে কালভার্ট নির্মাণ সরকারি অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই না বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, যেখানে খালের অস্তিত্ব নেই, সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও অর্থের অপচয় করেছেন। এভাবে জনগণের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে লোপাটের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা দরকার।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা