কোরবানিতে ভারতকে বাংলাদেশের বয়কট

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ভারতীয় গরু ছাড়া কোরবানির ঈদ যেনো অসম্পূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। তবে এখন দিন বদলেছে, গরু উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ বাংলাদেশ, এবার বয়কট করেছে ভারতকে। ভারতীয় কোন গরু আমদানি ছাড়াই এবার ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশু কোরবানি হবে দেশে। এমনটিই জানা যাচ্ছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে। অন্যদিকে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করতে না পারায় এখন মাথায় হাত ভারতীয়দের। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৩০ লক্ষ গরু আটকে গেছে রপ্তানি করতে না পারায়। যাতে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি রুপিরও বেশি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই দাদাবাবুদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিক ভালো যাচ্ছে না। ভারত মুখে মুখে বাংলাদেশ বয়কটের ডাক দিয়ে নিজেরাই এখন চরম বিপদে। ভারত বাংলাদেশে তাদের দেশের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশও প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারতের বিপক্ষে নিয়েছে ব্যবস্থা। এরই অংশ হিসেবে দেশের চরাঞ্চল গুলোতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে গড়ে তোলা হয় গরুর খামার। যেসব খামারের উৎপাদন এখন এতটাই বেশি যে কোরবানির এই বিশাল পরিমাণ চাহিদা পূরণ করে এবার বিদেশেও রপ্তানি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের গরু। মালয়েশিয়া-ওমান এমনকি আফ্রিকার সাথেও ইতিমধ্যে গরু রপ্তানির চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বাংলাদেশের। সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটের চরাঞ্চল গুলোতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু খামার। এর পাশাপাশি দেশের ৩০ টি জেলায় খামার গড়ে ওঠায় ভারতীয় গরু আর আমদানি করতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ঝাড়খন্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেদেশের মানুষ। একটা সময় এসব গরু কোরবানির ঈদের আগে বাংলাদেশে রপ্তানি করতো তারা। তবে এবার সেই সুযোগ না থাকায় রীতিমতো এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ এসব খামারী থেকে শুরু করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। ভারতে গরু হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন যেনো গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে ভারতের এসব গরু। বাংলাদেশকে বয়কট করতে গিয়ে এখন নিজেদেরই মাথায় হাত নরেন্দ্র মোদি সরকারের। বাংলাদেশী পর্যটকের অভাবে যখন না খেয়ে মরার দশা পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীদের ঠিক তখনই এবার বাংলাদেশ গরু আমদানি করা বন্ধ করে দিয়ে নতুন করে শংকায় ফেললো দাদাবাবুদের। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের সামনে এখন একটি পথই খোলা। তা হলো ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়ে সম্পর্ক ঠিক করা। নয়তো বাংলাদেশ বয়কট করতে গিয়ে নিজেদের পায়েই কুড়াল পড়বে নরেন্দ্র মোদির।