আজ মঙ্গলবার | ৩ জুন ২০২৫ | ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ৬ জিলহজ ১৪৪৬ | সকাল ১১:১৪

নির্বাচনের নয়া সমস্যা নতুন আসন

ডান্ডিবার্তা | ০১ জুন, ২০২৫ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে নতুন একটি আসন হওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। আর আসন ভাগাভাগি নিয়ে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলির মধ্যে নানা তৎপরতা। কে কোন আসনে নির্বাচন করবে এনিয়ে জলছে জল্পনা কল্পনা। যার প্রভাব তৃনমূল পর্যায়ে পড়তে শুরু করেছে। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিমত বিএনপির সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন সমঝোতার অভাবেই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সংসদের প্রধান বিরোধীদল হতে আসন সমঝোতার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি দেশের বৃহত্তম দল বিএনপির সঙ্গে পর্দার অন্তরালে আলোচনাও চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন এক সময়ের জামায়াত নেতা ও বর্তমানে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের র টকশোতে এমন দাবি করেন তিনি। তবে এবি পার্টির চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের পর এনসিপি ও জামায়াত নেতারা আসন সমঝোতার কথা অসত্য বলে দাবি করেছেন। মঞ্জুরুল ইসলাম দাবি করেন, রাজনীতির বাইরে কিছু রাজনীতি আছে। বিএনপি কেন নির্বাচনের ব্যাপারে সিরিয়াসলি ফোকাসড? যেহেতু বিএনপি জানে নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসতে পারে। এটা হচ্ছে মূল কথা। আমরা যতই তাত্তি¡ক কথা বলি না কেন, এখানে বাকিদলগুলো, যাদের সাথে বিএনপির ভালো সম্পর্ক তারাও নির্বাচন চায়। আর যারা মনে করে নির্বাচন করলে আমি ভালো করতে পারব না, তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, এনসিপি কিন্তু পর্দার অন্তরালে বিএনপির সাথে একটা সিট নেগোসিয়েশনের আলোচনা করেছে। সে ৭০ সিট, ৫০ সিট চেয়েছে… কালকে একটা পর্দার অন্তরালে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেল, সিট ভাগাভাগি হয়ে গেল, তাহলে দেখবেন সেপ্টেম্বরেই ইলেকশনের জন্য সবাই একমত হয়ে যাবে। এটা অফ দ্য রেকর্ড সবাই জানে। জামায়াত একটা শক্তিশালী দল। জামায়াতেরও ইলেকশনের ব্যাপারে পিছুটান আছে। ইলেকশন বিলম্বিত হলে এতে তাদের অসুবিধা নেই। বিএনপি যদি কালকে জামায়াতকে বলে আপনাদের ৫০টি সিট ছেড়ে দেব, জামায়াত অক্টোবরে ইলেকশন হলেও রাজি হবে। তবে মঞ্জুরুল ইসলামের এমন দাবি সরাসরি অস্বীকার না করে গতকাল শনিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা রোডম্যাপ চাচ্ছি। রোডম্যাপ ঘোষণার দাবির মধ্যেই আমরা আছি। আগে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক, তারপর সিট নেগোসিয়েশনের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, এগুলো এখনও ম্যাচিউর্ড পর্যায়ে যায়নি। তবে আসন সমঝোতার দাবি অস্বীকার করে এনসিপিরি যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক খান মোহাম্মদ মুরসালিন বলেন, বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। আমরা এখন সংগঠনকে গোছাতে কাজ করছি। সারা দেশে আমাদের সংগঠন গোছানোর কর্মসূচি চলছে। তাহলে আপানারা নির্বাচন চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দাবি আগে জুলাই ঘোষণাপত্র। এরপর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলেও বিচার, সংস্কারেরও সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকবে হবে। সংস্কার বাস্তবায়নের জন্যও আমাদের দাবি গণপরিষদ। যাতে এই সংস্কার পরে কেউ বাতিল করতে না পারে। এ বিষয়ে জামায়াতের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জামায়াতের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত একজন দলছুট ব্যক্তি হতাশা থেকে অনেক কিছুই দাবি করতে পারেন। আমরা ব্যক্তির সমালোচনা করছি না। তবে, দল ছোট বা বড় যেমনই হোক এর প্রধানের কাছ থেকে জনগণ আরও ম্যাচিউর্ড বক্তব্য প্রত্যাশা করে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ২০০৯ সালের পর বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জোর করে নির্বাচনের বাইরে রেখেছে। আবার জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচনের ফ্রেমে রেখেছে। জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আত্মগোপনে পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। ওই সময় আওয়ামী লীগ যেভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় কিছু দলকে নির্বাচনে জোর করে রেখেছে, এখনও কিছুদল ফ্যাসিবাদী কায়দায় কিছু দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চাইছে। তাহলে ফ্যাসিবাদী আওয়াম লীগ আর এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? তিনি বলেন, সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন ভাগাভাগির খবর শুনছি। আমরা তো আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনেই যেতে চাইনি। বিরোধী দল হওয়ার ইচ্ছা তো দূরের কথা। আওয়ামী জোর করে আমাদের নির্বাচনে নিয়ে বিরোধী দল বানিয়েছে। আর এখন বিরোধী দল হওয়ার জন্য কিছু দলের নেতা পাগল হয়ে গেছেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের মতো আসন ভাগাভাগির রাজনীতি না করে, দেশে সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। দেশের জনগণ নির্ধারণ করুক কারা সংসদে যাবে আর কারা বাইরে থাকবে। ষড়যন্ত্র করে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে বানরের রুটি ভাগের নির্বাচন হলে এদেশের মানুষের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। যেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন। আমাদের সুষ্পষ্ট ধারণা খুব শিগগিরই নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা