বিএনপিকে ডুবাচ্ছে বির্তকিতরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপিতে এখন আর কর্মী নেই। সকলেই বনে গেছেন নেতা। কারণ বিএনপির দখলে হাট-মাঠ ও ঘাট। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন গরুর হাট দখল। ইজারা নিতে গিয়ে নিজেরাই দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুধু তাই নয় এবার নতুন করে নামধারী নেতাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প মালিকরা। কতিপয় নেতা শিল্প মালিকদের ফোন করে বলেন, আমি উমক নেতা দল চালাতে হয় ছেলেপেলেদের দেখতে হয় তাই টাকা পাঠান। আর টাকা একটু বুঝে দিয়েন। এভাবেই চলছে চাঁদাবাজি। এদিকে দলীয় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতারা সোচ্চার হলেও অদৃশ্য কারণে জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা নিরব ভ’মিকা পালন করছে। এর আগে নারায়নগঞ্জ বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন আকেআষপ করে বলেছেন, একপি পক্ষ শহীদ জিয়ার শাহাদত বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে কার্ড ছাপিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। এদিকে গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপির কিছু নেতা মাত্র ৯ মাসে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। যারা রিকসায় চড়তে পারতেন না তারা এখন গাড়ি হাকিয়ে চলেন। শুধু তাই নয় বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ দামি গাড়ি কিনে গর্বের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেন নিজেই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ৫ আগষ্টের পর ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। বন্দরে এমন নেতাও রয়েছেন যারা মহানগেরর শীর্ষ নেতাদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মিল কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছেন। বন্দরের মুছাপুর এলাকার একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোটাই শাহীন নামে এলাকায় পরিচিত। সেই লোক এখন বিএনপির বড় নেতা। সে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যপক চাঁদাবাজি করছে। আওয়ামী দোসরদের পূর্নবাসনের জন্য নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আবার আরো রয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক লিটন যৌথ ভাবে স্থানীয় মিল কারখানায় চাঁদাবাজি করে শিল্পপতিদের অতিষ্ট করে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তারা কথিত যুবলীগ নেতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যুবলীগ নেতার হাসপাতাল রক্ষনাবেক্ষন করে যাচ্ছেন। এভাবেই বিএনপির সুনাম নষ্ট করতে যারা মাঠে রয়েছে কেন্দ্র এখনো তাদের উপর ভরসা করে বসে আছে। যাদের কারণে বিএনপির চরম ক্ষতি হচ্ছে ও আগামীতে ক্ষতি আরো বৃদ্ধি পাবে। তাদের কারণে ত্যাগী নেতারা এখন রানীতির মঞ্চে আসতে পারছেন না। তারাই এখন বিএনপির বড় নেতা। যারা বিএনপিকে ডুবাতে মাঠে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা। তা না হলে বিএনপিকে চরম খেসারত দিতে হবে বলে তারা মনে করেন।