আজ রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৮ জিলহজ ১৪৪৬ | রাত ৯:৩৬

পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বেদখল শফিক পরিবার নিয়ে দিশেহারা

ডান্ডিবার্তা | ১৫ জুন, ২০২৫ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডস্থ মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় আপন ভাই, বোন ও বোনজামাতার বিরুদ্ধে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বেদখল করার অভিযোগ করেছেন শফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে বিলকিস বেগম (৪১), শহিদুল ইসলাম (৪৫), বোনজামাতা রিপন (৪৫) ও লিখন (৪০) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে নিয়ে প্রায় শফিকুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পদ থেকে বেদখল করার জন্য বাড়িতে এসে হুমকী-ধামকী ও প্রাণ নাশের অপচেষ্টা করতো। এ বিষয় নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে। ইতিপূর্বে তারা সম্পত্তি ও টাকার জন্য বড় ভাই মরহুম রফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে, নিহতের ময়নাতদন্তের রির্পোটের উপরে মামলার কার্যক্রম চলমান হবে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি বছরের গত ২৮ মে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে তার আপন বোন, ভাই ও বোনজামাতারা সহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রসী প্রকৃতির লোকদের নিয়ে তার পৈত্রিক সম্পদ বসবাসরত ফ্লাটে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকী সহ পরিবারে থাকা স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানদের জোড়পুর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ফ্লাটটিতে তালা বদ্ধ করে দেয়। ঠিক একই কায়দায় গত ১ জুন দুপুর ১ টায় পুনরায় তার ফ্লাটে গিয়ে আলমারীতে থাকা রক্ষিত জমির বায়না করার ৫ লক্ষ টাকা, ৫/৬ ভরি স্বর্ণালংকার যার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা, একটি এনড্রয়েট মোবাইল মূল্য ২০ হাজার টাকা, ফ্রিজ টিভি যার মূল্য ১ লক্ষ টাকা, মালামাল বাড়ির বাহিরে খোলা স্থানে দামী দামী মালামাল ফেলে রাখে যার মূল্য ২ দুই লক্ষ টাকা। এছাড়াও ড্রয়ার ভেঙ্গে বাড়ির দলিল পত্র ও চেক বই নিয়ে যায়। পাশাপাশি ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এতে করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর এই সকল ঘটনা বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরায় প্রমান রয়েছে। ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম আরও জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম (৪৫), ছোট বোন বিলকিস বেগম (৪১), বোনজামাতা রিপন (৪৫) ও লিখন (৪০) তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে জোড়পুর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার স্ত্রী হাসিনা ইয়াছমিন ও বড় মেয়ে তাহাছিনা ইসলাম ৮ শ্রেনীতে পড়ে, ছোট মেয়ে তোওছিয়া ইসলাম ৭ম শ্রেনীতে পড়ে। এমতো অবস্থায় আমি বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে থেকে কয়েক দিন রাত্রী যাপন করি। পরে কোন উপায়ান্ত না দেখে সবাইকে নিয়ে বন্দরস্থ আমার শশুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। খুব কষ্টে শশুরবাড়ির লোকজনদের সাথে দিনযাপন করছি। আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এখন আমার পৌত্তিক সম্পত্তি দেখতে যাওয়াতো ধুরের কথা এলাকায় প্রবেশ করতে পারছি না। কারন তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাকে নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে আসছে, এবং আমাকে পেলে প্রাণে মেড়ে ফেলার চেষ্টা করবে। এবিষয় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ নিতে তালবাহানা করলে সাংবাদিকদের সহযোগীতায় সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেলেও ওসির কারনে মামলা নিচ্ছে না। এবিষয়ে আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা