আজ মঙ্গলবার | ১৭ জুন ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ২০ জিলহজ ১৪৪৬ | রাত ৮:০৮

সোনারগাঁয়ে বিচার সালিসে ২ যুবককে হাত বেঁধে নির্যাতন

ডান্ডিবার্তা | ১৭ জুন, ২০২৫ | ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে বিচার সালিসে দুই যুবককে চুরির দায়ে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেলে মসলেন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই যুবককে নির্যাতন করা হয়। চুরির প্রমাণ পেয়েও থানা পুলিশে না দিয়ে নিজেরাই পিটিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতিত যুবক বারদী ইউনিয়নের মসলন্দপুর গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে আল আমিন ও একই গ্রামের জামান মিয়ার ছেলে পারভেজ। জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মছলন্দপুর এলাকার এভারগ্রিন কিন্ডারগার্টেন নামের একটি স্কুল থেকে গত সোমবার রাতে ৯টি ফ্যান ও বৈদ্যুতিক মোটর চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত শনিবার দুপুরে ফ্যান ও মোটর বিক্রি করতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়ে আল আমিন ও পারভেজ নামের দুই যুবক। এ সময় তাদের ধরে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে তাদের শনিবার বিকেলে মসলন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি বিচার সালিসের আয়োজন করা হয়। সেই সালিসে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুকসহ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এসময় চুরির দায়ে দুই যুবককে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়। বিচার সালিসে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক ও মসলন্দপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরা পাগলা নিজেই প্লাস্টিকের পানির পাইপ দিয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে দুই যুবককে প্রায় অসংখ্যবার আঘাত করে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য যুবকের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন। এলাকাবাসীর দাবি, ওই এলাকায় তিন যুবক আল আমিন, শান্ত ও পারভেজের চুরির কারণে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসা ও বাড়িঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়। তাদের বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিকভাবে বিচার সালিস করার পরও তারা নিজেদের শুধরে নেয়নি। তাই রাগান্বিত হয়ে ইউপি সদস্য নিজেই লাঠি দিয়ে আঘাত করেছেন। অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ওমর ফারুক বলেন, তাদের বিচার করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বিচার সালিসে এলাকার গণ্যমান্য অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। সু-শাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সোনারগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ভিডিওতে যা দেখলাম কুকুরকেও এভাবে মানুষ মারতে পারে না। পেছনে হাত বেঁধে দুই ব্যক্তি একের পর এক আঘাত করছেন। তবে তারা অপরাধী হলে পুলিশে দিতে পারতো। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, দুই যুবকে হাত বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা