
আলম রায়হান
ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে বেড়ে ওঠা মুসলিম লীগ নেতা খান-এ-সবুর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন। ১৯৭২ সালে দালাল আইনে তিনি গ্রেপ্তার হন। বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদÐ হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত পটপরিবর্তনের পর খান-এ-সবুর ১৯৭৬ সালে মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে খুলনার তিনটি আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। এই নেতা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করে গেছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেও শেখ মুজিবের জীবদ্দশায়ই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন খান-এ-সবুর। এজন্য ম্যাজিক হিসেবে কাজ করেছে শেখ মুজিবের কাছে প্রেরিত একটি চিরকুট। যাতে তিনি লিখেছিলেন, ‘মুজিবের সোনার বাংলায় সবুর খান কেন জেলে থাকে!’ চিরকুমারের এই চিরকুটের বিষয়টি ছিল বেশ আলোচিত। সংসদে তার একটি বক্তব্যও আলোচিত হয়েছিল। খুলনায় পতিতালয় উচ্ছেদ করে তিনি ভুল স্বীকার করে দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছিলেন জাতীয় সংসদে। সবুর খান বলেছিলেন, রেড লাইট এলাকা থেকে উচ্ছেদের পর পতিতারা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, এদের আর নিয়ন্ত্রণ করার উপায় নেই। আমি ভুল করেছি! তিনি বলেছিলেন, নিষিদ্ধ পল্লি নামটিই আসলে বাস্তবসম্মত নয়। খুলনার নিষিদ্ধ পল্লি উচ্ছেদের পর খুলনার যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সেটিই ক্রমান্বয়ে পুরো বাংলাদেশের বাস্তবতা হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আদলে ঘরে ঘরেই যেন নিষিদ্ধ পল্লি গড়ে তোলা হচ্ছে। সামাজিক ক্ষেত্রে এটি বেশ আলোচিত। আর রাজনৈতিক অঙ্গনে অধুনা আলোচিত বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, নিষিদ্ধ হয়েছে দলটির সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম। এর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছাত্রলীগকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই নিষিদ্ধ কর্মের প্রভাব ও চূড়ান্ত ফল কী? আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎইবা কী! এই প্রশ্নটি আরও প্রকট হয়েছে ১৩ জুন ইউনূস-তারেক সফল বৈঠকের পর। জনরোষে বিতাড়িত শেখ হাসিনা ও তার দলের গুম, খুন নিয়ে যে তথ্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে এই দলের শুধু নিকট নয়, সুদূর ভবিষ্যৎও অন্ধকার। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে আওয়ামী লীগ। এদিকে চলছে বিচার। যে বিচারে দÐ ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে হয় না। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ অতল খাদের কিনারে। যদিও ৭৬ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বহুবার সংকট এবং ভাঙনের মুখে পড়েছে। যার আগ্রাসি সূচনা হয়েছে ১৯৫৭ সালে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সামরিক চুক্তির জের ধরে ভাঙনের মুখে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। এরপর ৭০-৭১ সালের কঠিন সময় পেরিয়ে আওয়ামী লীগের ভয়াবহ পরিণতি হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। পঁচাত্তরের পরও বিভিন্ন সময়ে ভাঙন এবং প্রভাবশালী অনেক নেতার দলত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবারের মতো বিপর্যয়ে কখনো হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ, সরকারে থাকা অবস্থায় জুলাই-আগস্টের হত্যাকাÐের দায় ছাড়াও জনরোষে ক্ষমতা হারানোর পর দলীয় প্রধানসহ অনেক নেতার দেশত্যাগ দলটিকে বড় সংকটে ফেলেছে। এ সংকট থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করার মতো একজন মিজান চৌধুরী নেই, আমেনা বেগমও নেই। মতিয়া চৌধুরী জীবিত থাকলেও একটা কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, গভীর বিবেচনায়ই আবদুল হামিদকে বিদেশ যেতে দেওয়া ও তার বাধাহীন আগমন এবং আইভী রহমানকে জেলে নেওয়া হয়েছে। এটি এক প্রকার মেসেজ। গভীরের কৌশলও থাকতে পারে। বিগত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের ফলে যেভাবে শেখ হাসিনা এবং তার দল ও সরকারের পতন হয়েছে, তাতে গণতান্ত্রিক চর্চার কাঠামোতে প্রবেশ করার সুযোগ পেলেও দলটি দাঁড়ানোর বিষয়টি অনিশ্চিত। তবে অনেকেই মনে করেন, আওয়ামী লীগ অথবা শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। বর্তমান সরকার অথবা পরবর্তী সরকার যদি দেশবাসীকে হতাশায় নিমজ্জিত করে, তাহলে মন্দের ভালো হিসেবে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনা কিন্তু থেকেই যায়। শাহ আবদুল করীমের জনপ্রিয় একটি গানই তো আছে—‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।’ এ গানের বিষয়টি জাতি হিসেবে আমাদের মননে মিশে আছে। ফলে আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিন গুণন চার বারো বলার মতো সময় সম্ভবত এখনো আসেনি। এরপরও কথা থাকে। বিশ্লেষকদের মতে, সুষ্ঠু বিচার হলে শেখ হাসিনা এবং তার ডানে-বামে-সামনে-পেছনের সাঙাতদের দÐ অনিবার্য। এ অবস্থায় আইনগতভাবেই রাজনীতিতে ফিরে আসার আর সুযোগ থাকে না। নির্বাচনে শক্তভাবে অংশ নেওয়া তো অনেক দূরের কথা। এদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর তাদের অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা থাকলেও সুপারিশে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হোক তা তারা চায় না।’ এ কথা সরকারপ্রধানের মুখেও উচ্চারিত হয়েছে বহুবার। এরপরও অনেকটা ইউটার্ন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেন নিষিদ্ধ করল সরকার? মনে করা হয়, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পেছনে প্রধানত কারণ হতে পারে দুটি। এক. বিরাজনীতিকরণের একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করা। দুই. দলটিকে একটি বড় ঝাঁকি দেওয়া যাতে দলছুটরা আওয়ামী খোলস থেকে বের হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের সামনে সহজ খোলস থাকার কথা নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি। কিন্তু নতুন দলটির গরম ভাতে পানি দেওয়ার মতো অবস্থা করেছে বিএনপি। আওয়ামী লীগারদের জন্য বিএনপির দরজা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ১৭ মে। এ ঘোষণা দেওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী ও পরিচ্ছন্ন সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কয়েকটি ‘নকতা’ লাগিয়েছেন। যার অনেকটাই বেশি ‘সংস্কার আর অল্প সংস্কারের’ মতোই বায়বীয় বিষয়। অনেকটা রংধনুর মতো। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগারদের জন্য বিএনপির দরজা খোলার আওয়াজ এর আগে রিজভী আহমেদ দিয়েছিলেন। তবে এটি তখন তেমন গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ঘোষণার পর আওয়ামী ঘরানার লোকদের মধ্যে এক ধরনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুরো আওয়ামী লীগই যেন এখন বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব! এর আগে তাদের মধ্যে অনেকেই তলে তলে এনসিপির আশ্রয়ে যাওয়ার লাইনে ছিলেন। কিন্তু তারা এখন বিএনপির ঘরে আশ্রয় লাভের জন্য মরিয়া। বলাবাহুল্য, বৈরী পরিবেশে দলছুট আওয়ামী লীগারদের সিংহভাগই কাকের বাসার কোকিলের ছা হয়েই থাকবেন। সময় হলে উড়াল দেবেন। আইয়ুব বাচ্চুর গানই তো আছে, ‘…উড়াল দেব আকাশে।’ সেনাপ্রধানের ভাষণে এ গানের বিষয়টি ব্যবহার হওয়ায় তা অন্যরকম দ্যোতনা পেয়েছে। গান প্রসঙ্গ আপাতত থাক। হিতে বিপরীত বলে একটি কথা আছে। মানে ভালো করার পদক্ষেপে খারাপ কিছু ঘটা এবং এর উল্টোটাও হতে পারে। যেমন খারাপ করার অপচেষ্টায় ভিকটিমের ভালো ফল প্রাপ্তি। এ ধারণাকে ভিত্তি করে হানিফ সংকেত পরিচালিত একটি নাটকের নাম, ‘বিপরীতে হীত’। নিষিদ্ধ করার ধারায় আওয়ামী লীগের জন্য কি ‘বিপরীতে হীত’ হলো নাকি? কারও কারও মতে, জনতার বিচার এবং আন্তর্জাতিক বিবেচনায় মৃতপ্রায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আসলে বাঁচিয়ে রাখার কোরামিন দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করেন, টানা দুঃশাসন এবং জুলাই-আগস্টের নির্বিচার গণহত্যা আওয়ামী লীগকে যে স্থানে নিয়ে গেছে, তাতে এই দলটির বড়-ছোট-আধা-শিকি-পাতি, কোনো স্তরের নেতারই জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাধ্য নেই। কেন্দ্রীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন-ওয়ার্ডের প্রতিটি আওয়ামী নেতা জনগণের দৃষ্টিতে মহাপাতক। তারা আর যাই হোক, জনগণের কাছে ভোট চাইবার অবস্থায় নেই। বড়জোর ক্ষমা চাইবার সুযোগ ছিল, এখনো আছে অবশ্য। আর ক্ষমা চাইলে এখনই আওয়ামী লীগ ধোয়া তুলসীপাতা হিসেবে বিবেচিত হবে, তা কিন্তু নয়। এ অবস্থা থেকে অনেকটাই বাঁচিয়ে দিয়েছে সরকার। কারণ জনগণকে পাশ কাটিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি থেকে নেপথ্য খেলোয়াড়রা বিশেষ সুবিধা ঘরে তুলতে পারবেন বলে মনে হয় না। বরং, এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের জন্য কিছুটা হলেও সুবিধাজনক পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে বলে মনে করা হয়। আর সবচেয়ে বড় সুবিধা হয়েছে আওয়ামী মাফিয়াদের। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুসারে আগামী বছর ফেব্রæয়ারির মধ্যে অথবা আরও পাঁচ বছর পরও যদি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে কি আওয়ামী লীগের প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় সারির কোনো নেতা-পাতিনেতা, এমনকি খুচরা নেতাও প্রার্থী হতে পারবেন? নিশ্চিতভাবে উত্তর নেতিবাচক। কিন্তু সংসদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হলে এবং নির্বাচন করার আইনগত বৈধতা থাকলে আওয়ামী লীগকে তো নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। তখন প্রার্থী হতেন কারা? নিশ্চয়ই অপরিচিত মুখ এবং তাদের মধ্যে কেউ নির্বাচিত হন অথবা নাইবা হন, তারা তো এক প্রকার জননেতা হিসেবে পরিচিতি পাবেন। এটি তো আওয়ামী মাফিয়া নেতাদের ‘ভাত মারার’ মতো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। যারা এখন বেশ ভালোই আছেন। তারা একেকজন তো সাবেকি আমলের জগৎ শেড, হাল আমলের আম্বানি, নিদেনপক্ষে আম্বানির নাতি। কেউ কেউ পনেরো বছরে এত কামিয়েছেন যে, তিন পনেরো পঁয়তাল্লিশ বছর বসে খেলেও টাকা শেষ হওয়ার নয়। যদিও প্রবচন আছে, বসে খেলে রাজার গোলাও খালি হয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামী মাফিয়াদের গোলা খালি হওয়ার নয়। এ নিয়ে তাদের চিন্তার কিছু নেই। তাদের চিন্তা ছিল, নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে। সেই চিন্তাও সরকার দূর করে দিল। প্রসঙ্গত, সাধারণভাবে বলা হয় আওয়ামী লীগ যত না রাজনৈতিক দল তার চেয়ে অনেক বেশি মাফিয়া সংগঠন। মাফিয়া আওয়ামী লীগারদের মহা উপকার কেন করল সরকার? এটি এক বড় প্রশ্ন।
আবার অন্য প্রশ্ন সামনে এসেছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেতে পারবে কি পারবে না—এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন প্রশ্নে ড. ইউনূস তার কথা রাখবেন কি? অথবা রাখতে পারবেন তো? বিএনপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বহুদিনের মৃদু চাপের ধারা অবশেষে প্রবল চাপের দিকে নিয়েছে। এদিকে এনসিপি ও জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দল নির্বাচন প্রশ্নে উল্টো সুর গাইছে। আর সরকারের তরফ থেকে তো ‘সংস্কারে সং’ আলোচনায় আছেই। কেউ ঘোষণা দিয়ে বসে ‘সংস্কার ও অন্যান্য দাবি পূরণের আগপর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না’ তখন সরকার কী করবে অথবা করতে পারবে? প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই; স্বয়ং সরকারপ্রধান ড. ইউনূস একাধিকবার বলেছেন। এটি তার মুখে বহুল শ্রæত কথার একটি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার বয়ান রক্ষিত হয়নি। এজন্য প্রধানত তিন দিনের অবস্থান এবং এক ঘণ্টার আলটিমেটাম অজুহাত হিসেবে সামনে আছে। যে চাপ সাজানো বলে অনেকেই বলছেন। প্রধান উপদেষ্টার জবানিতে আরও একটি বহুল শ্রæত বিষয় হচ্ছে, ‘আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।’ সেখান থেকে সরে এসে এপ্রিল, অতঃপর ফেব্রæয়ারিতে নির্বাচন নোঙর করেছে। এখন যদি নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে আবার কোনো ‘চাপ মঞ্চায়ন’ হয় অথবা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নে ড. ইউনূস তার কথা রাখতে পারবেন? না পারলে হয়তো সুনীলের সেই কবিতা আবার আলোচনায় আসবে, ‘তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি।’ অবশ্য বাংলাদেশের ৫৪ বছরেও কেউ কথা রাখেনি। ‘কেউ কথা রাখে না!’—এ কথা সুনীলের কবিতায় বলা আছে। আর ড. ইউনূস যদি নির্বাচন প্রশ্নে তার কথা রাখেনও, তাহলে সেটি কোন নির্বাচন? সেটি যে সংসদ নির্বাচনই হবে তা কি মাথার দিব্যি দিয়ে বখেদমতে হুজুরে আলা বলেছেন!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯