আজ মঙ্গলবার | ১৭ জুন ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২ | ২০ জিলহজ ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৬:১৭

সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তা হাবিব বহাল তবিয়তে!

ডান্ডিবার্তা | ১৭ জুন, ২০২৫ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা দুর্নীতিবাজ হাবিবুর রহমান রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি অফিসে সাধারণ মানুষকে হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। এতে বাদ যায়নি বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরাও। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম রবি সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের ব্যাপারে অবগত করলেও দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুব রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৭ বছর অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনার আমলে লুটপাট ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের মানুষ। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখনো স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের প্রেত আত্মারা বিভিন্ন অনিয়মের সাথে এখনো জড়িত রয়েছে। তেমনই একজন হল সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। সে আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ভালো অফিসে চাকরি করেছে। করেছেন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার গাড়ি-বাড়িসহ নামে বেনামে সম্পদ। সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি পল্লীতে রয়েছে তিন থেকে চার কোটি টাকার ফ্ল্যাট। টাকা তিনি কোথায় পেলেন?। বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম রবি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন জেলার মানুষরা বসবাস করেন। তারা এক কাটা দুই কাঠা জমির উপর বাড়ি করেন। তারা নামজারি করতে গেলে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন এমনটাই জানালো এলাকাবাসী। আমার কাছে এমন অনেক ভুক্তভোগী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বললে আমি বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সাহেবকে ফোনে অবগত করি। তিনি ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও আজও ব্যবস্থা নেওয়ার মত কোন কিছু চোখে পড়েনি। এই দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবারো জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আবারো এইসব দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবে সাধারণ মানুষ। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের বিষয় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তার কোটি টাকা মূল্যের রাজকীয় ফ্ল্যাট রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুষ ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) মোঃ হাবিবুর রহমান টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না এমনটা অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিভিন্ন ভেন্ডার ও দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারিসহ বিভিন্ন কাজ করান ভূমি কর্মকর্তা হাবিব। করেছেন নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লী এলাকায় ৩নং রোডে ১৩ নাম্বার বাড়িতে ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের তিনটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। যার বাজার মূল্য তিন থেকে চার কোটি টাকা। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে রয়েছে কোটি কোটি টাকা সম্পদ। ভূমি সংক্রান্ত যে কোন সেবার বিনিময়ে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লী এলাকায় ৩ নাম্বার রোডের ১৩ নাম্বার ১০ তলা ভবনে ভূমি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে এমন সত্যতা পাওয়া যায়। ভবনের সিকিউরিটি গার্ড বিষয়টি নিশ্চিত করে। ভূমিপল্লীতে নামে-বেনামে রয়েছে তার আরো সম্পদ। শুধু তাই নয় তার দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ বাসি। সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। নামজারি করাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। এই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান আপন গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এ গুণধর কর্মকর্তা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জমির কাজে আসা ভূক্তভোগীরা বলছেন। ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অফিসের কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ভূমি অফিসে কাজে আসা গ্রাহকদের কাজ সম্পাদনের বিষয়ে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন। সেবা প্রাপ্তির ৮০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আজ না-কাল সময়ক্ষেপন করে। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা। ভূক্তভোগীরা আরও জানান, এই ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না। নামজারির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মোটা অংক টাকা আদায় করে এই অফিসের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেয়ার কথা বলে। ভুক্তভোগীদের দাবী এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ জরুরি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভূমি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বাবা একজন ব্যাংকার ছিলেন,ওই সময় আমরা অনেক টাকা পয়সার মালিক ছিলাম, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শিল্পপতি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার সম্পদের ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা আছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লীতে প্রায় তিন কোটি টাকার ফ্ল্যাট এর মালিক কিভাবে হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তার সাথে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা