আজ সোমবার | ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ | ৪ মহর্‌রম ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:১৩
শিরোনাম:
চাঁদা না পেয়ে বন্দরে বিএনপি নেতা মুকুলের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত    ♦     আওয়ামী দোসরদের ঘুম হারাম!    ♦     উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগ থেকে ম্যাগাজিন উদ্ধার    ♦     মুকুলের উপর হামলার প্রতিবাদে মদনপুরসহ ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ    ♦     এশিয়ার বৃহত্তম আদমজী জুট মিল বন্ধের ২৩ বছর অতিবাহিত    ♦     ইপিজেডে আ’লীগ নেতার পক্ষে যুবদল নেতা মাঠে    ♦     মর্গ্যান গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ    ♦     শহরে ছাত্রদলের ওরালস্যালাইনসহ পরীক্ষার্থীদের মাঝে পানি বিতরণ    ♦     তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে শয্যাশায়ী ইব্রাহিমের চিকিৎসা শুরু    ♦     সোনারগাঁ একটি মডেল উপজেলায় রূপ নিচ্ছে: ডিসি    ♦    

বন্দরে আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে

ডান্ডিবার্তা | ৩০ জুন, ২০২৫ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও বন্দরে ওসমানদের দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে আগের মতই অনেকটা প্রভাব খাটাতেও দেখা যাচ্ছে। এলাকায় ড্রেজার ব্যবসা থেকে শুরু করে এখনও নিয়মিত চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরা রং ধনুর মত ভোল্ট পাল্টাতে সময় নেয় না। যারা ১৬ বছর আগে চাল আনতে পান্তা ফুরানোর উপক্রম হতো। তারাই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। টাকার প্রভাব খাটিয়ে তারা প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে বেড়ায়। এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশিত হয়। গত মঙ্গলবার রাতে নাসিক ২৩নং ওর্য়াডস্থ কবরস্থান রোড( স্বল্পের চক) এলাকা হতে বিএনপির নেতা কবির ওরফে গরু কবিরের বাড়ি থেকে থেকে কাজী জহিরকে গ্রেফতার করে। সাবেক কদম রসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহির। বর্তমানে দেশের এমন প্রেক্ষাপটে কাজী জহির বিচার বাণিজ্য, অন্যের জমি দখল, বিশাল দাপটে ছিল। স¤প্রতি তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি অভিযোগও হয়েছিল। দেশের আলোচিত এক নেতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের রাজনীতির অনুসারী কবির ওরফে গরু কবির। কবিরের বাড়িতে জমি সংক্রান্ত বিচারে আসলে কাজী জহিরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। বিচার শালিস হতে কাজী জহিরকে গ্রেফতারের বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত। কাজী জহির ওসমান পরিবারের একজন বিশস্ব গোয়েন্দা। শামীম ওসমােেন শীপের ব্যবসার উৎসাহদাতা কাজী জহির। এক সময়ের বেশ দাপটে প্রভাবশালী শামীম ওসমানের শীপ ক্রয় করে দেয়, পরে আরো ২ টি মোট ৩ শীপ ক্রয় করে দেয়। কাজী জহিরকে জিঙ্গাসাবাদ করলে শামীম ওসমানের অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে আসবে বলে সুশীল মহলের দাবী। জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। এমন একটা সময় গেছে রিক্সা ভাড়া দিতে কষ্ট হত। সেই জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে বিশাল অর্থশালী বনে গেছেন। নিজ এলাকা ছাড়াও মদনপুর ফুলহর এলাকায় তার শ্বশুর রহিম মিয়ার এলাকায় ডুপ্লেক্স ৫ তলা বিলাশ বহুল ভবন আছে, এছাড়া নিজ এলাকা রসুলবাগ, কলেজ মাঠ, মাঠপাড়া ৫ তলা ভবন, আমিন আবাসিক এলাকায় সাড়ে ৭ শতাংশ, ৫ কাটা, কল্যান্দী এলাকায় ১শ শতাংশ জমি, খাদেম পাড়া ২টি প্লট, কাইতাখালী নিতাই বাবুর ২৬ শতাংশ জায়গা ব্যাংক হতে ক্রয় করে, সোনাচড়া মন্দির সংলগ্ম ৩০ শতাংশ, মুছাপুর ইউনিয়নের প্রেমতলা এলাকায় বিল্লাল মিয়ার ৩৩ শতাংশ, কুশিয়ারা হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ভেন্ডার রাজা মিয়ার ৮০ শতাংশ জমি তার স্ত্রী শিউলী বেগমের নামে। এছাড়া নামে বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তির মালিক। সহ বিভিন্ন এলাকায় আরো ১০/১৫টি প্লট রয়েছে। ব্যাক্তিগত কোন ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও আকিজ কোম্পানি ঘিরে সুবিধা ভোগীদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম একজন। স্বৈরাচারী সরকার ও দলীয় প্রভাবে জিরো হতে হিরো হয়েছে। ওসমান পরিবারের দোসরদের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। আকিজ কোম্পানি ঘিরে অল্প দিনে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। জাহাঙ্গীর আলমের অর্থ সম্পদ কিভাবে, জেলায় দায়িত্ব রত গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম এক জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে বিষধ বিশ্লেষণ ও তদন্ত সাপেক্ষে বেড়িয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য। চাঁন মিয়া একজন বহুরূপী বালু দস্যু সুবিধাভোগী। ৯০ দশকে মুন্সিরগঞ্জ হতে বন্দরে আসে। বন্দর খেয়াঘাটে লেভারদের সর্দার ছিলেন। তারসাথে তাল মিলিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িয়ে পরে। ৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টায় চাঁন মিয়া। ফের ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের রুপে। তারপর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে ওসমান পরিবারের একনিষ্ট ভক্ত ও কাছের লোক চাঁন মিয়া। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আগেও চারদলীয়জোট সরকার আমলে বালুর ব্যবসা ছিল বেশ। তারপর ১/১১ সময়ে সুকৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যায়। মহাজোট সরকার স্বৈরনীতির সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যে তারা করেনি। ওসমান পরিবারের একজন দোসর। উজ্জ্বল হোসেন, ওসমান পরিবারের দোসর হলেও ভোল্ট পাল্টানো এক নেতা উজ্জল আহমেদ। বন্দর ১নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জল আহমেদ বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আবার সময়ের প্রেক্ষাপটে অনেকটা কৌশলে অগ্রসর হচ্ছেন উজ্জ্বল আহমেদ। ওসমান পরিবারের দোসরদের গ্রেফতার দাবী সচেতন মহলের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা