আজ শনিবার | ২ আগস্ট ২০২৫ | ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:০৮

টেলিগ্রামে শেখ হাসিনার হুমকি

ডান্ডিবার্তা | ০২ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আর কদিন পরেই ৫ আগস্ট। এই দিনে খুনি শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তার দল গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বর্তমানে নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। বাংলাদেশের ভুক্তভোগী জনতার রোষাণল থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা। ভারতে পালিয়ে একা হয়ে পড়া স্বৈরাচার হাসিনার সময় কাটছে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ভার্চুয়াল আড্ডায়। নিয়মিত এতে যোগ দেয় দেশ ছেড়ে পালানো ও আত্মগোপনে থাকা দলীয় খুনি, বখাটে, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজেরা। টেলিগ্রাম গ্রæপে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই আড্ডা। ভারতের মদদে অনলাইনে বসেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নানা নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়। স¤প্রতি দলটির টেলিগ্রামে চাঁদাবাজির অভিনব এক পদ্ধতি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারাদেশে। স¤প্রতি টেলিগ্রাম কনফারেন্সের ৫০ সেকেন্ডের স্ক্রিন রেকর্ড করা একটি খÐিত ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। এতে একজন উপস্থাপককে বলতে শোনা যায়, মনে হয় নেত্রী চলে গেছে। এসময় ‘ঐঊঝঐ’ নামের আইডি থেকে পলাতক হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, “না না নেত্রী আছে, যায় নাই। ডিস্টার্ব করছে। আর কিছু কিছু বাজে লোক ঢুকে আজেবাজে কথা বলছে।” খুনি হাসিনা হুমকি দিয়ে আরো বলে, “এরা পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের জারজ সন্তান যারা এ সমস্ত জঘন্য কথা বলে। নামটাম সব লিখে রাখো, যারা আছে সবকটারে করাচিতে পাঠিয়ে দিব।” নেটিজেনরা হাসিনার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, এই মহিলা যে এত ছেছড়া ইন্ডিয়া পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণ আরো ভালো করে জানার সুযোগ পেয়েছে।তার এই রকম অধ:পতন হবে সে নিজে কখনো স্বপ্নেও ভাবে না। এখন ফুটপাতের অবিক্রিত মাল।কতো লো লেভেলের নেত্রী। টুকাইদের সাথে গ্রæপে কথা বলছে। গত ১৬ বছর এই সাইকো, মূর্খ নাকি আমাদেরকে চালাইছে! কি এক্টা অবস্থা!এই মহিলার ক্ষমতার লোভ বেশি। কথায় কথায় পাকিস্তান পাঠিয়ে দিবে। কেনো বাংলাদেশ কি তোর বাপ একলায় স্বাধীন করছে। ফেসবুকে একজন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ইয়ে মানে দেশলেত্রীর সাথে এতক্ষন মিটিং এ ছিলাম!! লেত্রী অচিরেই ফিরে আসবেন। উনার মিটিং এ যারা ডিস্টার্ব করেছে তাদেরকে এসে তিনি সরাসরি ভিসা বিহীন, পাসপোর্ট ছাড়াই করাচিতে পাঠিয়ে দেবেন বলে আসস্থ করেছেন।পাকিস্তান ট্যুরে ফ্রিতে যেতে চাইলে বেশী বেশী ডিস্টার্ব করেন‌। উল্লেখ্য, এক বছর ধরে হাসিনার দলের নেতা–কর্মীদের যোগাযোগের মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে টেলিগ্রাম। এসব গ্রæপের কোনো কোনোটিতে ২০ থেকে ৩০ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব গ্রæপে মিটিং চলে। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের কিছু সূত্র নিউজ১৮-কে জানিয়েছে, শেখ হাসিনা এসব আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হলে কে কথা বলবেন, তা নির্ধারণে অর্থ লেনদেন হয়। এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সূত্র বলছে, টেলিগ্রামকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে রেখেছে কাদের। সেখানে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ঢাকা ঘেরাওয়ের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু তাঁর কথায় কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা বাস্তব পদক্ষেপ থাকে না বলে অভিযোগ সূত্রগুলোর।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা