বাক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণকারী গ্রেফতার
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী তাজিমুলকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর একটি টিম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৬টার দিকে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন সোনার বাংলা মার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে দীর্ঘ ১ বছর ধরে পলাতক ছিল। গ্রেফতারকৃত তাজিমুল আড়াইহাজার উপজেলার টেকপাড়া এলাকার জুমানের পুত্র। গতাকাল বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২০২১ সালের ২ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে টেকপাড়া এলাকায় একটি বাক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যেখানে তাজিমুল (৪৫) নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ ১৩ বছরের বাক প্রতিবন্ধি শিশু কে উত্যক্ত এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম কু -প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বান্ধবীর বাড়ীতে যাওয়ার পথে আসামী টেকপাড়া এলাকাস্থ দেলোয়ারা বেগম এর পরিত্যাক্ত বসতঘরের ভিতরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক দেলোয়ার বেগম ঘটনাটি দেখে ফেলায় আসামী ঘটনাস্থল হতে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের নানা বাদি হয়ে ওই বছরের ৫ আগষ্ট আড়াইহাজার থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হতে গ্রেফতার এড়াতে কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় আতœগোপন করে ছিল। পরবর্তীতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ধর্ষণকারী কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ছায়া তদন্ত এবং গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৮ আগস্ট বিকেল সোয়া ৬টার দিকে র্যাব-১১ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন সোনার বাংলা মার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ ১ বছর ধরে পলাতক বাক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী তাজিমুলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ সে ভিকটিম কে উত্যক্ত এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভিকটিম তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুযোগবুঝে টেকপাড়া সাকিনস্থ দেলোয়ারা বেগম এর পরিত্যাক্ত বসতঘরের ভিতরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।