আজ সোমবার | ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৫ মহর্‌রম ১৪৪৭ | বিকাল ৪:২৫

মনোনয়ন প্রত্যাশার রাজনীতি!

ডান্ডিবার্তা | ৩০ মার্চ, ২০২৩ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট রাজধানীর সবচেয়ে নিকটবর্তী শহর নারায়ণগঞ্জ। জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন। বিভিন্ন কারণেই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঘুম এখন থেকেই হারাম হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সিদ্ধিরগঞ্জ আর বিএনপির অবস্থান ফতুল্লায় মন্দ নয়। কিন্তু সবখানেই নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে চাইছেন এই দুই দলের নেতারা। সেই কাজে এখন থেকেই উঠেপড়ে লেগেছেন হাই প্রোফাইল নেতারা। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে তারা শুরু করেছেন নানা রকম তৎপরতা। অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারাও নিয়মিত নারায়ণগঞ্জে আসছেন। তবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজতে উভয় দলই মাঠে নেমেছে। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ভোটারদের আগ্রহের বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন সিনিয়র নেতারা। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময়সহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা শুরু করেছেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বিভিন্ন জনসভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে চলেছেন। তিনি জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে ইতোমধ্যে তিনি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী ক্যাম্প ও কার্যালয় তৈরি করেছেন, যেখানে তিনি নিয়মিত দুই ঘণ্টা করে সময় দিয়ে নেতাকর্মী থেকে শুরু সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে কথা বলবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী তিনি। এদিকে, তার একাধিক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধী রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে, যারা চান না, শামীম ওসমান আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাক। আওয়ামী লীগের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন দলের শ্রম কল্যাণ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক কাউছার আহম্মদ পলাশ এবং এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ চৌধুরী। এই দুই নেতার ফতুল্লা এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে দুই নেতা দলের মনোনায়ন প্রত্যাশা করছেন। তারা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং বিএনপি নেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জানান, আগামী নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। অন্যদিকে, গিয়াস উদ্দিন দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বহুদিন আগে থেকেই। অধ্যাপক মামুন মাহমুদ জানান, তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করতে করতে আজ এই পর্যায়ে এসেছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। তিনি ১৯৮৭-৯০ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, ১৯৮৮-৯০ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। অপরদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। সাবেক এই সংসদ সদস্য বর্তমানে কর্মীবিহীন নেতা হিসেবে বিএনপির নেতার্কর্মীদের কাছে পরিচিত। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান। অপরদিকে, জাতীয় পার্টির কোনো শক্ত প্রার্থীকে মনোনয়নের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়নি। এদিকে, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয় দলেই কোন্দল রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দলের চেয়ে পছন্দের ব্যক্তির হয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এর একমাত্র কারণ হলো, যে দলেরই হোক, পছন্দের প্রার্থী ক্ষমতায় থাকলে তারা সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কখনো জয়লাভ করেনি। এখানে আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দলের দুর্দিনে শামীম ওসমান ছাড়া কাউকে আমরা খুঁজে পাইনি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু জানান, বিএনপিতে একাধিক সিনিয়র নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে ক্লিন ইমেজের শিক্ষিত এবং গত ৫ বছরের রাজপথের আন্দোলনে যাকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাশে পেয়েছেন, তাকেই মনোনয়ন দেবে দল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা