আজ মঙ্গলবার | ২২ জুলাই ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৬ মহর্‌রম ১৪৪৭ | রাত ৪:৪১

চাষাড়ায় অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডে যানজটের সৃষ্টি!

ডান্ডিবার্তা | ০৩ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে সদর-বন্দর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ একেএম সেলিম ওসমান পুলিশ সুপারের হাতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। অসহনীয় যানজটের গ্যাড়াকল থেকে মুক্তি ও নির্বিগ্নে যাতায়াতের জন্যই এ অনুদান। রোজার আগের দিন এ নিয়ে চাষাড়ায় জেলা পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়ও করেছেন কিভাবে শহরকে যানজটমুক্ত রাখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি গায়ে হলুদ পোষাক পরিহিত প্রায় শতাধিক কমিউনিটি পুলিশও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা শহরের প্রবেশ মুখে অবস্থান নিয়ে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক ও মিশুকগুলো শহরে প্রবেশে নিরুসাৎহ করছে। তবুও কমছে না শহরময় যানজট। শহরে প্রবেশের বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে প্রবেশ করছে ইজিবাইক ও মিশুকগুলো। তার উপরে আবার শহরে প্রবেশ মুখে সোনালী ব্যাংকের সামনে গড়ে তুলেছে সিএনজি ষ্ট্যান্ড। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক লেগুনা গাড়ি। গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চাষাড়া সোনালী ব্যাংকের সামনে প্রায় ২০/২৫টি সিএনজি ২টি সারিতে রাস্তার উপর রেখেই যাত্রী উত্তোলন করছে। তার পেছনেই রয়েছে লেগুনা গাড়িগুলো। যার মাত্র ২০ গজ দুরেই অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সটি। দাড়িয়ে মুঠোফোনে ছবি তুলতেই কয়েকজন সিএনজি চালক এসে বললেন,ভাই ছবি তুলে লাভ নাই। আমরা এখানে এভাবে দাড়াইনি। প্রতিটি গাড়ির জন্য ট্রাফিক স্যারকে ১০০ টাকা করে দেই। আপনি হয়তবা এ ছবি কোন ট্রাফিক স্যারকে দেখাবেন। ঠিক আছে দেখান কিন্তু কোন লাভ হবেনা। তারা হয়তবা আসবেন কিন্তু ১০ মিনিট পরে আবারও ষ্ট্যান্ড তৈরী হবে। কারন সেটা আমাদের সাথে তাদের চুক্তি। ব্যাংকের টাকা দিতে আসা এক নারী বলেন,ব্যাংকের সামনে এভাবে ষ্ট্যান্ড দেয়াটা আমাদের অনেকের জন্য হুমকীর কারন। ব্যাংকের বাহিরে দাড়িয়ে থাকা ছিনতাইকারীরা যদি আমাদের গচ্ছিত টাকা ছিনিয়ে নেয় তাহলে কি পুলিশ কিংবা এ চালকরা সেটা ফিরিয়ে দিবেন। পত্রিকায় দেখেছি যে, রমজান মাস উপলক্ষে শহরকে যানজটমুক্ত করা হবে কিন্তু কিভাবে? শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এরুপ ষ্ট্যান্ড তৈরী করে। সমবায় মার্কেটে বাচ্চা নিয়ে আসা এক গৃহবধু বলেন, এ হলো আমাদের দেশের হালচিত্র। মুখে যেটা বলা হয় কাজে হয় তার উল্টো। অথ্যাৎ পুলিশ ঢাকডোল পিটিয়ে যেভাবে শহরকে যানজটমুক্ত রাখার ঘোষনা দিয়েছেন এখানে দেখছি ভিন্নতা। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবৈধ ষ্ট্যান্ড করে তুলেছে পুলিশের সহযোগিতায়। তিনি আরও বলেন,নিতাইগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় ঘন্টায় চাষাড়ায় এসেছি। তাহলে কিভাবে তারা শহরকে যানজটমুক্ত রাখছেন। এ বিষয়ে টিআই ইমরান বলেন, এ বিষয়ে আমাকে ফোন দিবেননা। বিস্তারিত জানতে এডিশনাল এসপি ট্রাফিক স্যার ও টিআই এডমিন স্যারকে ফোন দিবেন। টিআই এডমিন একে করিম বলেন, প্রতিদিনই ওদেরকে আটক করে রেকার বিল তুলে দিচ্ছি। তারপরও ওরা এখানে বসে ঝামেলা করে। আমি আবার দেখছি ওদের ব্যাপারে কি করা যায়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা