আজ মঙ্গলবার | ২২ জুলাই ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৬ মহর্‌রম ১৪৪৭ | সকাল ৯:৪৭

রূপগঞ্জে হিজড়াদের উৎপাত বৃদ্ধি

ডান্ডিবার্তা | ০৩ এপ্রিল, ২০২৩ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি বছর জুড়েই হিজড়াদের উৎপাত। উৎসব কিংবা বিশেষ দিনকে উপলক্ষ্যে করে হিজড়াদের উৎপাত আরও বেড়ে যায়। দোকানপাট,মাকের্ট,কলকারখানা ও বাসা বাড়িতে দল বেঁধে তাদের বিচরণ। গালাগালি বা ইজ্জতহানী করে জোর পূর্বক পয়সা রোজগার করাই তাদের পেশা। সম্প্রতি রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় হিজড়াদের অত্যাচার অতি মাত্রায় রূপ নিয়েছে। আর আসন্ন ঈদকে ঘিরে হিজড়াদের উৎপাত আরও বেড়েছে। এ ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা। রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়াস্থ হক সুপার মার্কেট এলাকায় হিজড়াদের একটি সংগঠন রয়েছে। এ সংগঠনের সভাপতি শেলি আক্তার। তার বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাবো গ্রামে। এ দলে ২০/২৫ জন সদস্য রয়েছে। এদের অধিকাংশ সদস্যই পুরুষ ও মহিলা। প্রকৃত হিজড়া হাতে গোনা কয়েকজন। জানা গেছে এদের কেউ লিঙ্গ পরিবর্তন করে আবার কেউ হিজড়া সেজে সদস্য হয়েছে। আগে তাদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮ জন। এখন দিনদিনই নতুন নতুন সদস্য দলে যোগ দিচ্ছে। দল বেঁধে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বা বাসা বাড়িতে চাঁদা আদায় তাদের কাজ। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলেই শুরু হয় উৎপাত। দল বেঁধে মানুষকে নাস্তানাবুধ করে। তাদের এহেন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট। কোথাও দৈনিক আবার কোথাও সাপ্তাহিক আবার কোথাও মাসিক চাঁদা উঠায়। এদিকে রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে তারা দল বেধেঁ মাঠে নেমেছে। একদল যাচ্ছে বিভিন্ন কলকারখানায়, কেউ যাচ্ছে মুদি দোকানে বা মার্কেটে আবার কেউ যাচ্ছে বাসা বাড়িতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ১০০/২০০ টাকা করে তুলছে। মুদি দোকানেও একই হারে টাকা তুলছে। কেউ দিতে দেরী করলে নিজ হাতে পন্য তুলে নেয়। কিছুই করার থাকে না। হিজড়াদের কাছে ব্যবসায়ীরা অসহায়। অনেকে অপমানিত হওয়ার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করলেই হিজড়ার দল তাকে নাস্তানাবুদ করে ফেলে। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে কলকারখানায় ২ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। মিলের গেট না খুললে গেটে লোহা বা শক্ত কিছু দিয়ে পেটাতে থাকে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। তখন মিল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয় তাদের চাঁদা দিতে। বাসা বাড়িতেও তারা দল বেঁধে টাকা আদায় করে। যেকোন অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে তারা বাড়িতে গিয়ে টাকা আদায় করে। শিশু সন্তান জন্ম নিলে তো রক্ষা নেই। এ ক্ষেত্রে তাদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতেই হবে। তা না হলে বাসা বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার করে হিজড়ার দল। টাকা না পেলে তারা হুমকি দিয়ে আতংক করে ফেলে বাড়ির মালিকদের। বাচ্চা কেড়ে নেয়। হাত তালি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। হিজড়াদের মধ্যে আিধকাংশই পুরুষ যারা হিজড়া সেজে আছে। আবার কেউ লিঙ্গ পরিবর্তন করে হিজড়া সেজেছেন। মুদি দোকানের মালিক শহিদুল্লাহ জানান, গউছিয়া কাঁচা বাজারে প্রতিদিন হিজড়া সম্প্রদায় জোর করে টাকা উঠায়। কেউ না দিলে মানুষকে নাস্তানাবোধ করে ছাড়ে। লোকজনের সামনে উলঙ্গ হয়ে যায়। তারা ইচ্ছেমত নিজের হাত দিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। তাদের অত্যাচারে আমরা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারিনা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক কারখানার ম্যানেজার বলেন, প্রতিটি উৎসবে তাদের টাকা দিতে হয়। ঈদেও টাকা দিতে হয় আবার পুজায়ও টাকা দিতে হয়। এদিকে পহেলা বৈশাখ, ইংরেজী নববর্ষ ছাড়াও প্রতি মাসে টাকা নিতে আসে। তাদেও চাহিদা মতো টাকা না দিলেই অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। এলাকাবাসী জানায়, যেকোন অনুষ্ঠান বা শিশু সন্তান জন্ম নিলে কিভাবে যে হিজড়া খবর পায়। বাড়িতে এসে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়ে ফেলে। তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে হৈচৈ করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরিবারের সামনে উলঙ্গ হয়ে যায়। শিশুদের ধরে নিয়ে যাবার হুমকি দেয়। এতে অনেকে বাধ্য হয়ে তাদের দাবীকৃত টকা দিয়ে দেয়। এ ব্যপারে হিজড়াদের সভাপতি শেলি আক্তার জানান, আমাদের দেখলে মানুষ মজা করে। আমাদের কেউ কাজ দেয়না। সরকারও আমাদের কোন সাহায্যে করে না। তাই টাকা তুলে আমাদের সংসার চালাতে হয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা