
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকলেও গণভবনে বসবাসের জন্য যে বরাদ্দ নিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে তখন বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি শোরগোল তৈরি হয় বিএনপির তরফ থেকে। এই বরাদ্দ দেবার কিছু দিন পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে শেখ হাসিনার গণভবনে থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন। তখন খালেদা জিয়াকে উদ্ধৃত করে ইত্তেফাক পত্রিকা শিরোনাম করেছিল, ‘নির্বাচন করিতে চাহিলে গণভবন ছাড়ুন।’ খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তিনি গণভবনে থাকতে পারেন। তাহলে বিএনপির কোন আপত্তি নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা যদি নির্বাচনে অংশ নিতে চান তাহলে গণভবন ছাড়তে হবে। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছিল।‘গণভবন ছাড়িয়া বাহির হইয়া আসিলে তিনি যেসব সমস্যার সৃষ্টি করিয়া গিয়াছেন, সেগুলোর সমাধান একসঙ্গে বসিয়া কথা বলিতে রাজি আছি,’ খালেদা জিয়াকে উদ্ধৃত করে লিখেছিল দৈনিক ইত্তেফাক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেবার পরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমানের সাথে বৈঠক করে শেখ হাসিনার নামে গণভবন বরাদ্দ বাতিল করার দাবি জানান। বিএনপি যখন শেখ হাসিনাকে গণভবন ছেড়ে দেবার জন্য রাজনৈতিক চাপ তৈরি করেছিল, তখন আওয়ামী লীগও পাল্টা কৌশল অবলম্বন করে।আওয়ামী লীগের তরফ থেকে দাবি তোলা হয় খালেদা জিয়া যাতে তার সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেন। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষ দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে বাড়ির ইজারা বাতিল করার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তৎকালীন পত্রপ্রিকার খবরে বলা হয়, ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকা-ের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ঢাকা সেনানিবাসে শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের মাধ্যমে কিছু শর্তে ইজারা দেয়া হয়। বাড়িটিতে জমির পরিমাণ ছিলে দুই দশমিক ৭২ একর। এই বাড়িতে সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বসবাস করতেন। খালেদা জিয়ার বাড়ির বরাদ্দ বাতিল করা হবে না কেন এই মর্মে দুটো কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছিল। এসব নোটিশ জারি করেছিল তৎকালীন মিলিটারি এস্টেট অফিস। এসব নোটিসের মধ্যে বলা হয়, খালেদা জিয়া বাড়ি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের পটভূমিতে শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই শেখ হাসিনা গণভবন ছেড়ে দেন।এরপর ২০০১ সালে ১৬ই অগাস্ট তিনি গণভবন ছেড়ে যান। শেখ হাসিনা যখন গণভবন ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বিএনপি নেতা খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি ছেড়ে দেবার আহবান জানান। শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা তখন লিখেছিল, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন আমি গণভবন ছাড়লেই নাকি আমার সাথে আলোচনা করবেন। এখন তিনি ১০১ টাকা দিয়ে সেনানিবাসের যে বাড়ি নিয়েছেন তা ফেরত দিলেই আলোচনা হতে পারে।’ গণভবন ছাড়ার সময় শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের আরো বলেছিলেন, ‘বাড়ি নিয়ে এতো কথা শুনতে ভালো লাগে না। নেই নাই, নিলাম না।’ শেখ হাসিনা তখন দাবি করেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণভবন ১০১ টাকার প্রতীকী মূল্যে বাড়ি কিনে নেবার প্রস্তাব উঠেছিল। ‘আমি ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করিনি। আমি বলেছিলাম, আমার শুধু থাকার জায়গা হলেই চলবে। সিকিউরিটির লোকেরা বিভিন্ন বাড়ি সার্ভে করে সুগন্ধা, যমুনা বা করতোয়া আমার বসবাসের জন্য নির্ধারণ করে। যমুনার মতো বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে আমি করতোয়াকে (পরবর্তীতে গণভবন) বেছে নেই,’ সাংবাদিকদের বলেছিলেন শেখ হাসিনা। পরে ২০০১ সালে গণভবন ছেড়ে যাবার সময় শেখ হাসিনা দাবি করেছিলেন, গণভবন প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত ছিল না। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি সেটি প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত থাকে তাহলে শাহ আজিজ, মওদুদ আহমদ ও খালেদা জিয়া গণভবন ব্যবহার করেননি কেন?
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯