আজ মঙ্গলবার | ৬ মে ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ | ৭ জিলকদ ১৪৪৬ | দুপুর ১২:১৫

না’গঞ্জের নয়ামাটিতে হাজার কোটির ব্যবসা অগ্নিঝুঁকিতে

ডান্ডিবার্তা | ১০ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা নয়ামাটির ছোট ছোট অলি-গলি দিয়ে কখনো চার চাকার গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনা। অথচ এখানে বছরে শতশত কোটি টাকার হোসিয়ারী পণ্য বেঁচাকেনা হয়। বছরে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি রয়েছে অগ্নি ঝুঁকিতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো এলাকা বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জালে মোড়ানো। কিছুকিছু জায়গায় তারের জঞ্জালের কারণে রাস্তার নিচ থেকে আকাশও দেখা যায়না। স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন জ¦লে উঠে। তখন রাস্তার দুই পাশের ছোটবড় বহুতল ভবন থেকে পানি দিয়ে সেই আগুন নেভানো হয়। কিন্তু এতোবড় বাণিজ্য এলাকা যেখানকার প্রতিটি ভবন কাপড়, ক্যামিকেল আর সুতায় ঠাসা অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও প্রবেশ করতে পারবেনা। সেখানে বড় ধরনের আগুন লাগলে কিভাবে নেভানো হবে সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছে। জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর রাত ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ আগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪০ দোকান পুড়ে যায়। এরপর থেকে নয়ামাটির হোসিয়ারী ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছে ভয় আর আতঙ্ক। বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে ৮ হাজারের মতো হোসিয়ারী রয়েছে। যার অধিকাংশ এই নয়ামাটি ও এর আশাপাশের এলাকায় অবস্থিত। তবে ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বলছে, সারা বাংলাদেশের দেশীয় পোশাকের চাহিদা মেটানো এই নয়ামাটি অগ্নিকান্ডের দিক থেকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নয়ামাটির হোসিয়ারী ব্যবসায়ী আব্দুস সেলিম বলেন, এখানে যতো মার্কেট আর বাড়ি দেখেন সব জায়গায় কোটি কোটি টাকার খেলা। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা নাই। আপনে ঠিকমতো খুঁজে দেখে কোথাও আগুন নেভানোর যন্ত্র নাই। পানির রিজার্ভ নাই। এখানে যেহেতু আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবেনা। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই ব্যবসা করা উচিৎ তবে সেটা নিয়ে কারো চিন্তা ভাবনা নাই। এর পিছনে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানও দায়ী বলে আমি মনে করি। নয়ামাটির রহমান হোসিয়ারীর নারী শ্রমিক আবেদা পারভীন বলেন, যেই রাস্তা দিয়া ঢুকসেন সেখানে তারের মধ্যে প্রায়ই আগুন লাগে। তখন বিল্ডিং থেকে পানি বালু দিয়া আগুন নেভানো হয়। আমরা এমন এক জায়গায় কাজ করি তা আর কি বলবো। ৫ তলা ৬ তলার উপরে কারখানায় শ্রমিকেরা থাকে। নিচে আগুন লাগলে আমরাদের সবার মরা ছাড়া উপায় নাই। গার্মেন্ট আর হোসিয়ারীতে অনেক তফাত। গার্মেন্টে দুইটা সিঁড়ি থাকে আগুন নেভানোর মেশিন থাকে। নয়ামাটির হোসিয়ারীতে এগুলো নাই। আমাগো মালিকেরা টাকা কম কামায় নাকি? তাগোরটা ধরা পরেনা। সরকারের উচিত এখানে নজর দেওয়া, নাইলে আমাগো আগুনে জ¦ইয়া মরতে হবে। এদিকে নয়ামাটির কিছু ব্যবসায়ী জানান, এলাকাটি অগ্নিঝুঁকির অনেক বেশি থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের নজর খুব কম এখানে। নয়ামাটির নিরাপদ বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরিতে এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি তেমন কোনো উদ্যোগ কারো চোখে পড়েনি বলেই জানিয়েছেন তারা। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ফখরউদ্দীন আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমাকে অফিস টাইমে ফোন দিয়েন আমি অসুস্থ্য আছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা