আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৮:৩৭

সোনারগাঁয়ে সব দলের সুবিধাভোগী আলমগীর মেম্বার  

ডান্ডিবার্তা | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:১৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মো. আলমগীর হোসেনের রাজনীতি শুরু হয় আওয়ামী লীগ করে।পরে তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের ভ্যানগার্ড হিসেবে বিএনপির  রাজনীতি শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় অধ্যাপক রেজাউল করিমকে বাদ দিয়ে এখন হাত মিলিয়েছেন সোনারগা থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানপন্থী হয়ে  রামরাজত্ব করছে আলমগীর মেম্বার। গত ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসররা গা ঢাকা দিলেও সোনারগাঁয়ের চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। যদি দেশ বর্তমানে অন্তবর্তী সরকারের অধীনে চলছে তারপরও যেন পুরো দেশজুড়েই চলছে বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য। এখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বিএনপির একটি অংশ তাদের নির্বিঘ্নে চলছে। তারই প্রতিফলনে সোনারগাঁয়ে দেখা যাচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার এবং বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মো. আলমগীর হোসেনের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন তারই চাচাতো ভাই সোনারগাঁ উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাশেদ উদ্দিন মন্জু মিয়া, আলমগীরের ভাগিনা বারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু এবং বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলমগীরের ভাতিজা এইউএম আসাদুজ্জামান প্রকাশ্যেই রয়েছে। আওয়ামী লীগের পদে থাকা সবাই আলমগীর মেম্বারের ঘরের মানুষ। বিগত ১৫ বছরে তাদের ছায়াতলে থেকে সুবিধা ভোগ করা এই বিএনপি নেতা গত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে সরেজমিনে কালাম মিয়ার নৌকার নির্বাচন করেছে খুব জোরেশোরে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারদী ইউনিয়নের অনেক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, প্রায় ১৫ বছর বিএনপি করার সুবাদে পরিবার-পরিজন ছেড়ে আমাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকতে হয়েছে। বিভিন্ন মামলার পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলারও ঘটনা ঘটিয়েছিল আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের দেশত্যাগের পর নারায়ণগঞ্জসহ পুরো দেশজুড়েই জুলাই-আগস্টের নৈরাজ্যের কারণে পুরো দেশজুড়েই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের সোনারগাঁ থানাতেও কিন্তু একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন মামলাতেও ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী আলমগীর হোসেনের ভাই-ভাতিজা ও ভাগিনার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। থানা পুলিশের সাথে আতাত করেই সাবেক এ মেম্বার তার আত্মীয়দেরকে মামলামুক্ত রেখেছেন বলে জানান তারা। অথচ বিগত ১৫ বছর শুধুমাত্র বিএনপি করার অপরাধে আমাদেরকে পরিবার -পরিজনের মায়া ত্যাগ করে বেচে থাকার তাগিদে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে হয়েছিল যাযাবরের ন্যায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিগত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে নানাবিধ অপরাধ করেও শুধুমাত্র সাবেক ইউপি মেম্বার আলমগীরের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে এখনও বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার ভাই-ভাতিজা ও ভাগিনা। তারা আরও বলেন,তাহলে কি বিভিন্ন অপরাধ করেও শুধুমাত্র বিএনপি নেতার আত্মীয় হওয়ার সুবাদে সাত খুন মাফ হয়ে যাবে। বিগত ১৫ বছরে ওরা (আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা) এত অপরাধ করে কি মাফ পেয়ে যাবে আত্মীয়তার সুবাদে। এছাড়াও তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচন করেছে তার ভাই, ভাতিজা ও ভাগিনার সাথে। তার প্রমানও রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের সাথে মিসিলে অংশ নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার ভোট চায়। তিনি  দ্বৈত রাজনীতি করেন। আওয়ামী লীগের আমলের তাদের প্রভাবে চলেন তিনি,এখন বর্তমানে তার প্রভাবে চলছে তার ভাই বাতিজারা। আর বর্তমানে আওয়ামী লীগ নাই তাই তার ভাই, ভাতিজা ও ভাগিনা  তার প্রভাব বিস্তার করে বারদী ইউনিয়নে চষে বেড়াচ্ছে। লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী আলমগীর মেম্বার। আমরা সোনারগাঁয়ের বারদীসহ পুরো সোনারগাঁয়ের বিএনপি শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে দাবী জানাবো যে, যদি বিএনপি করার অপরাধে বিগত ১৫ বছর একাধিক মামলা আসামী হতে হয়েছিলো বিএনপির সকল নেতাকর্মীদেরকে। তাহলে কেন আত্মীয়ের সুবাদে আওয়ামীলীগের ঐ সমস্ত বর্বররা এখনও পর্যন্ত মামলার আসামী হয়নি এবং কেনইবা এখনও পর্যন্ত বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী আলমগীরের স্বজনরা প্রকাশ্যে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেই বিষয়েও থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দেও চোখ-কান খোলা রেখে ঐ সকল আওয়ামী দোসরদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক  আলমগীর মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাজনীতি করা সবার অধিকার আছে আমি বিএনপি করি। আমার ভাই-ভাতিজা ভাগিনা আওয়ামী লীগ করে সত্যি, দল করা যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, হিংসাত্মক রাজনীতিতে আমি পছন্দ করি না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা