সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ৫জন আহত

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:

সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি চৌধুরীপাড়া বসু হাজী মার্কেট এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ৫ জনকে আহত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহতরা হলেন- রাজু (৩৪), কাজল (২৮), জুয়েল (৩৫), সামির ওরফে ভান্ডিল (২৭),  রাশেদ (২৮)। পরে তাদের উদ্ধার করে খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।  এ ঘটনায় চিকিৎসা শেষে রাজু বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিজমিজি চৌধুরী পাড়া বসু হাজী মার্কেট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী স্বপন (৪৫), গিয়াস উদ্দিন টুলুর ছেলে মহিন (২৮), আক্তারের ছেলে মাইনুদ্দিন (২৮), মজিবুরের ছেলে সায়েম ওরফে কেলমা (১৮), ও রতন (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের মাদক সেবন করে এলাকার যুবক ও উঠকি বয়সেন তরুণরা ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। তাদের মাদক ব্যবসা প্রতিরোধ করতে এলাকার সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে গত রবিবার আহত রাজু, কাজল, জুয়েল, রাশেদ সামির ওরফে ভান্ডিলসহ যুব সমাজ বাঁধা দেয় ও প্রতিবাদ করে।    এরজের ধরে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের উপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে।  জুয়েল জানান, মাদক কারবারি স্বপন তার ব্যবহারকৃত সুইচগেয়ার দিয়ে রাশেদ (২৮) এর হাতের রগ কেটে দেয় এবং রাজুকে (৩৫) বেধড়ক মারধর করে। পরে আশেপাশের লোকজন তাদের খাঁনপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এরপর অভিযুক্ত মাদক কারবারিরা ফের সন্ধ্যার দিকে  আমার বাসার সামনে এসে আমাকে অতর্কিত হামলা শুরু করে, এক পর্যায়ে তারা তাদের সাথে আনা চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কুপ মেরে আঘাত করে।  এসময় আমার ব্রু কেটে যায়। আমার ছোট ভাই কাজল এসে আমার এই অবস্থা দেখে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে খাঁনপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, আওয়ামী লীগের দোসর মাসুমের লোক স্বপন চোর ওরফে মাদক ব্যবসায়ী। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। স্বপন চোর ও একজন মাদক করবারি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, স্বপন ওরফে চোর স্বপন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। আমার এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ীর ঠাঁই হবে না। এই মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আনার অনুরোধ জানাই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।