আজমেরীর নাম ভাঙ্গিয়ে ছাত্রসমাজ নেতা রবিউল আউয়ালের যতো অপকর্ম

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের যেন শেষ নেই। দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল। ইটভাটা থেকে চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক জমি দখল, কিশোরগ্যাং শেল্টারসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ছাত্রসমাজ নেতা রবিউল আউয়ালের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগীরা বলেছেন, অনতিবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনা হলেই আজমেরী ওসমানের নির্দেশনায় করা সব অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমেরী ওসমানের অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে এই রবিউল আউয়ালের কাছে। এলাকায় কয়েকবার অস্ত্র প্রদর্শণ করেছে রবিউল আউয়াল। আজমেরীর প্রভাবে পুরো বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন কবজা করে রেখেছিল রবিউল আউয়াল। মুছাপুর ইউনিয়নের একাধিক ইটভাটা থেকে চাঁদা উত্তোলন থেকে শুরু করে ভূমিদস্যুতা এবং নিজের লালিত কিশোরগ্যাং সদস্যদের দিয়ে পুরো এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো রবিউল আউয়াল। সূত্রানুযায়ী, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর পতন তথাপি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওসমান পরিবারের সকল সদস্য। তবে এখনো পর্যন্ত নিজ এলাকাতেই অবস্থান করছেন রবিউল আউয়াল এবং আজমেরির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়ার খবরে ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের খবর চাউর হলে মুছাপুর ইউনিয়নস্থ নিজ বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিলেও সম্প্রতি আবারও ফেরত এসেছে সে। অপরদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়া মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দল ক্ষমতায় থাকা সময় আজমেরী ওসমানের নামে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াতো রবিউল আউয়াল। বিচার সালিশের নামে মুরব্বীদেরকে পর্যন্ত ঘর থেকে তুলে আনতো তার লোকজন দিয়ে। তার মতের অমিল থাকা ব্যক্তিদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করতো সে। রবিউল আউয়ালের নেতৃত্বে ছিল বিশাল এক কিশোরগ্যাং বাহিনী। যাদের মাধ্যমে পুরো এলাকায় ডন বনে গিয়েছিল সে। এলাকাবাসী বলছেন, মহল্লার অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা নিতো রবিউল। যারা এখন ক্ষোভে ফুসছে। এ বিষয়ে রবিউল আউয়াল বলেন, আমি আজমেরী ওসমানের লোক ঠিক আছে, তবে কোনদিন মানুষের উপর জুলুম করিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নেইনি। যারা আমার নামে এসকল অভিযোগ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে।