আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:২৪

তিন মাস দেশেই পলাতক ছিলেন ওবায়দুল কাদের

ডান্ডিবার্তা | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ দিন দলটির প্রায় সব নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। জীবন রক্ষায় সেনানীবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেক নেতা। কিন্তু তখন বড় জিজ্ঞাসা ছিল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন। তিনি দেশে না বিদেশে এমন প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক মহলে। সময়ে সময়ে তাকে নিয়ে নানা গুজব আর গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাতাসে। গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছেন এই সময়ে। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি। সূত্রের দাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন দলের সভাপতি। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন। যে আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনার সরকারকে এক বিধ্বংসী পরিণতি দেখতে হয়েছে। মানবজমিন জানতে পেরেছে, গত ৮ নভেম্বর ওবায়দুল কাদের শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান। খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকার পতনের কয়েকদিন আগে থেকে হঠাৎ নীরব হয়ে যান। বলাবলি আছে, আন্দোলন নিয়ে দেয়া বক্তব্যের কারণে তাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছিল দলের সভাপতির পক্ষ থেকে। এ সময় দলের অন্য নেতারা গণমাধ্যমে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন নেতা নানা মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিবৃতি দেখা যায়নি। টানা তিন মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওবায়দুল কাদের দলেও নিজস্ব বলয় তৈরি করেছিলেন। এ কারণে দলীয় অনেক নেতাকর্মীও তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে নানা সময়ে বক্তব্য দেয়ায় সাধারণ মানুষের কাছেও বিরক্তিকর চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছিল নানা ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা