আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:৫২

না’গঞ্জে গণহত্যাকারীদের নয়া মিশন

ডান্ডিবার্তা | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
জুলাই মাসে ছাত্র জনতার আন্দোলনে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ শহরে মোটর সাইকেলে বসে একের পর এক গুলি করেন সিটি করপোরেশনের অপসারিত কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ছাত্র-জনতার উপর বাবুর এমন ভয়ঙ্কর আচরণ দেখেছেন নগরীর মন্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ ও পাইকপাড়ার শতশত মানুষ। সব সময় সঙ্গে রিভলবার নিয়ে চলাফেরা করা এই বাবু শহরের বাইরেও তান্ডব চালান। ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকায় শামীম ওসমানের একমাত্র ছেলে অয়ন ওসমানের সাথে বাবু ও যুবলীগ ক্যাডার শাহ নিজাম মুহুর্মহু গুলি করেন। সেখানে তাদের সঙ্গ দেন ছাত্রলীগের একঝাঁক নেতা। তারাও দেশীয় অস্ত্রের মহড়ার পাশাপাশি পিস্তল ও রিভলবার দিয়ে গুলি করে ছাত্রদের ধাওয়া করে। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ব্যর্থ হওয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় গডফাদার শামীম ওসমানসহ তার অনুসারীরা। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আব্দুল করিম বাবু। জানা গেছে, স্ব-পরিবারে পালিয়ে যাওয়ার পর বাবুর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সেই মামলা থেকে বাঁচতে কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পলাতক বাবু। আর এই কাজ সম্পন্ন করতে তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন বিএনপি নেতার সাথে সখ্যতা গড়েছেন যারা রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় নিয়োজিত। বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের কয়েকজন জানান, ওই নেতাদের পরামর্শে হত্যা মামলার বাদীদের ম্যানেজ করতে মোটা অংকের টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেয়া হচ্ছে। বাবুর সহযোগীদের দাবি, মামলা থেকে বাঁচতে কয়েক কোটি টাকা প্রস্তুত রেখেছেন সাবেক এই কাউন্সিলর। এদিকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ডিস ব্যবসা, বিরোধপূর্ণ জমি বেচাকেনা, বিচার-শালিশসহ নানাভাবে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েন বাবু। এরমধ্যে বাবুর নগদ টাকার অধিকাংশ কানাডা ও আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে রয়ে যাওয়া একাধিক বাড়ি, জমি ও ব্যবসা রক্ষা করতে বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করছেন তিনি। এদের মধ্যে কোনো কোনো বিএনপি নেতাকে নগদ টাকা আবার কাউকে ডিস ব্যবসার ভাগ দিয়েছেন বলেও বাবুর এক সহযোগী জানিয়েছেন। জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এরা যে সন্ত্রাসী তারা নারায়ণগঞ্জবাসী দেখেছে। আমাদের কাছেও প্রমাণ আছে। বিএনপির কেউ এই সন্ত্রাসীদের সাহায্য করলে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। এমনকি বহিষ্কারও করা হবে। আমরা জানি এই সন্ত্রাসীরা বাঁচতে বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টায় আছে। কিন্তু যেই নেতাদের সাথে সখ্যতা করছে তারা বিএনপির তেমন কেউনা। আর তাদের বিরুদ্ধে যেসব হত্যা মামলা হয়েছে তা থেকেও বাঁচার কোনো সুযোগ নেই। ঐ বাদীকে ম্যানেজ করলে বেঁচে যাবে এমন কোনো সুযোগ পাওয়া যাবেনা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা