আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৪১

ত্যাগী নেতাদের দুরে রাখার মিশন!

ডান্ডিবার্তা | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর যেন একচেটিয়া কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালায় তাদের মতাদর্শের বাইরে কাউকেই দাওয়াত দেয়নি। শুধুমাত্র যারা সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাথে রাজনীতি করে থাকেন যারা তাদের সাথে একমত তারাই কর্মশালা দাওয়াত পেয়েছেন। অথচ একদিন আগে একই কর্মশালা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতেও হয়েছে। সেই কর্মশালায় সকলেই দাওয়াত পেয়েছেন। সভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সাথে যারা রাজনীতি করেন তারাও দাওয়াত পেয়েছেন যারা তাদের সাথে রাজনীতি করেন না তাদের মতের বাইরে থাকেন তারাও এই কর্মশালায় দাওয়াত পেয়েছেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে ঠিক এমনটাই জানা গেছে। সেদিনের জেলা বিএনপির কর্মশালায় অনুপস্থিত থাকা অনেক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদেরকে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ীই দাওয়াত দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যক্তিগত কারণে কর্মশালায় উপস্থিত হননি। বিপরীতে মহানগর বিএনপির কর্মশালায় অনুপস্থিত থাকা অনেক নেতার সাথে জানা যায় তাদেরকে দাওয়াতই দেয়া হয়নি। সাংগঠনিক কোনো উপায়েই তাদের দাওয়াত দেয়া হয়নি। আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ইচ্ছা করেই তাদের দাওয়াত দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। জানা যায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা ও জন-সম্পৃক্ততাকরণে মহাগনর বিএনপির উদ্যোগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এদিন সকাল ১০টা থেকে মিশনপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ হোসিয়ারি মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই সাথে কর্মশালায় মহানগর বিএনপি সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে থাকা অনেক নেতারই দেখা মিলেনি। যারা মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণার পর বিরোধীতা করেছিলেন তাদের কাউকেই দেখা যায়নি। এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন একজন রাজনীতিবিদ। আর মহানগরে যারা আছেন তারা রাজনৈতিক কর্মী। যারা রাজনীতিবিদ তারা কর্মসূচি সফল করতে চাই। আর যারা রাজনৈতিক কর্মী সংক্ষিপ্ত করতে চায়। গিয়াসউদ্দিন একজন প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ। এজন্য তিনি তার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে সবাইকেই দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু মহানগরের আহবায়ক কখনও কর্মী ছিলেন না। তাকে আগে কর্মী হতে হবে। তারপর তিনি প্রজ্ঞাবান হতে পারবেন। বিএনপির আরও এক নেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মহানগরে যারা আছেন তারা আসলে রাজনীতিবিদের কোনো পর্যায়েই নেই। আবুল কালাম মহানগরের সভাপতি থাকাবস্থায় সাখাওয়াত হোসেন খান আলাদা বলয়ে রাজনীতি করতেন। কিন্তু এমন কোনো কর্মসূচি হয়নি যেখানে সাখাওয়াত হোসেনকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে যে কোনোভাবেই হোক সাখাওয়াত হোসেন খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হতো। কিন্তু সাখাওয়াত হোসেন খান দায়িত্ব পেয়ে তার মতের বাইরে কাউকে কোনো কর্মসূচিতে রাখেন না। এর আগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. শাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কমিটি ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরপরই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। যারা সবসময় মহানগর বিএনপির কর্মসূচির বাইরে থাকছেন। তারা সবসময় আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা