আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১৬

আ’লীগকে বিএনপি বানানোর মিশন

ডান্ডিবার্তা | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ লিটন এর লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সমালোচনা করার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে ওই নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, প্রত্যেকটা মিলে তারা লুটপাট করছে। তারা বদনামটা এমন করছে চেম্বার অব কমার্সে তাদের বিচারটা গেছে। তারা কোম্পানিকে যেই টাকাটা দিবে সেই টাকাটাও তারা কোম্পানিকে দেয়নি। সন্ত্রাসী কায়দায় তারা লুটপাট করে মাল গুলো নিয়ে গেছে এবং অনেক গুলো জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। বিগত স্বৈরাচারা সরকার যে পলায় গেছে। তাদের একটা মেশিন ছিলো। তাদের মেশিনে বিএনপি এবং মুক্তিযোদ্ধা একদিক দিয়ে দিতো আরেকদিক দিয়ে রাজাকার হইয়া যাইতো গা। স্বৈরাচার সরকার সেই মেশিনটা হিরণ সাহেবেরে সেই মেশিনটা দিয়া গেছে। হিরণ সাহেবের কাছে আওয়ামী লীগের হেরা যায় ওইদিক দিয়ে তারা বিএনপি হয়ে যায়। এগুলোতে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। আমরা দীর্ঘদিন কষ্ট করছি। মামলা খাইছি জেল খাটছি। আমরা সহ আমাদের ফ্যামিলি কষ্ট করছে। আমরা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এইডা আমরা হতে দিতে পারিনা। আমাদের বিএনপির যেন ভাবমূর্তি যেন অক্ষুন্ন থাকে আমরা সেই ভাবেই চলবো। এই লুটপাট গ্রæপরে দিয়া আমাদের বিএনপির ভাবমূর্তি রক্ষা হবেনা। একটি রেস্টুরেন্টে দলীয় নেতাকর্মীদের এভাবেই খোলামেলা আলোচনা করতে দেখা গেছে বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ হোসেনকে। তবে ভিডিওটি কবে কার তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তাওলাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে তাওলাদ হোসেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও হারুন অর রশিদ লিটনের বিরুদ্ধে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন। সেই সাথে তাদেরকে বয়কট করে উপজেলা বিএনপির একাংশ নিয়ে তিনি বিক্ষোভ মিছিল পর্যন্ত করেছেন। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যার মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদসহ অন্যান্যরা। তবে সমঝোতার মাধ্যমে তাদেরকে এলাকায় ফিরিয়ে এনেছেন মাজহারুল ইসলাম হিরণ, হারুণ অর রশিদ লিটন ও জাহিদ খন্দকারেরা। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে মাসুম আহম্মেদ বেশ কিছুদিন ধামগড় এলাকা ছেড়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় তার নতুন বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে মাজহারুল ইসলাম হিরণ তাকে এলাকায় ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এলাকায় ফেরার দিন মাসুম আহম্মেদ এর বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন মাজহারুল ইসলাম হিরণ। এখন পর্যন্ত মাসুম আহম্মেদের বাসায় দুই দফায় হিরণ দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে ১৭ জুলাই মদনপুরে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর দলবল নিয়ে হামলা করেছিলো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের অহিদুজ্জামান অহিদ। সেদিন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা মদনপুরে অহিদুজ্জামান অহিদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো। এ সময় ছাত্র জনতা মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। ওই ঘটনায় বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ হোসেনকে আসামি করা হয়েছিলো। ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে গিয়ে ছিলো অহিদুজ্জামান অহিদ। কিন্তু বর্তমানে সে এলাকায় ফিরে এসে নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছে। অভিযোগ রয়েছে হিরণের সাথে অহিদুজ্জামানের সমঝোতা হওয়ার পরই সে এলাকায় ফিরে এসেছে। এছাড়াও হিরণ, লিটন সহ উপজেলা বিএনপির নেতারা ওই এলাকায় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ বিএনপি নেতারাই। এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে দাবি করে হিরণ, লিটনদের বয়কট করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ২২ নভেম্বর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনসহ বিতর্কিত নেতাদের বয়কট করে তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন নেতারা। এমনকি দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় উপজেলা সভাপতি হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক লিটনকে বয়কটের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপির একাংশ। ওই বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ হোসেন বলেছেন বন্দরের উত্তরাঞ্চলে একজন নতুন দরবেশের আবির্ভাব হয়েছে। তিনি হাদিয়া নিয়ে মাথায় হাত রাখলে আওয়ামী লীগের লোক বিএনপি হয়ে যায়। তিনি ছাত্রজনতার উপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী মদনপুরের অহিদুল ইসলাম অহিদকে শেল্টার দিয়ে রেখেছেন, অহিদ এখনো অন্যে ইটভাটা দখলে রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ হাদিয়ে নিয়ে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। তারা আরো বলেছেন, আমাদের সভাপতি হিরণ সাহেব, সেক্রেটারি লিটন সাহেব এবং জাহিদ খন্দকার এমন কোন ফ্যাক্টরি নাই যা দখল করে নাই। এমনকি মানুষের জায়গা পর্যন্ত দখল করে নিছে। হিরণ সাহেব হাদিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাথায় হাত দিলেই সে বিএনপি হয়ে যাচ্ছে। এ জন্যই কি দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা আন্দোলন সংগ্রামে সব জায়গায় ছিলাম। এখন যে অবস্থা কয়েকজন লোকের জন্য আমাদের বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তা আমরা হতে দিতে পারিনা। আওয়ামী লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম চেয়ারম্যান সে আন্দোলনের সময় জাঙ্গাল থেকে দা নিয়ে মিছিল নিয়ে এসে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। এখন ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে। আমাদের সভাপতি হিরণ সাহেব, লিটন সাহেব, জাহিদ খন্দকাররা টোটাল ফ্যাশন, ইউনাইটেড, জারিন ফ্যাশন সহ এমন কোন কারখানা নেই যেখানে লুটপাট করে নাই। চুনের কারখানার মালিক সাদেক সাহেবকে পারটেক্সের ৩২ শতাংশ জমি দখল করে দিয়েছেন। খুনি হাসিনার কাছে একটি মেশিন ছিলো একদিক দিয়ে বিএনপি ঢুকাতো ওই দিক দিয়ে রাজাকার হয়ে বের হতো। আওয়ামী লীগ ঢুকাতো মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হতো। এখন হিরণ সাহেব তার থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বের করেছেন। এখন তিনি হাদিয়ার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের মাথায় হাত দিলেই তিনি বিএনপি হয়ে যাচ্ছে। এ সমস্ত লোকের দ্বারা দলের ক্ষতি হচ্ছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসব আমরা হতে দিতে পারিনা। আমাদের অভিভাবক নজরুল ইসলাম আজাদ ভাইয়ের প্রতি আহবান রইলো আপনি এসব বিষয় তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা