আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | রাত ১১:১৫

হতাশা কাটছে প্রবীণ নেতাদের!

ডান্ডিবার্তা | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
পুরোনো বিএনপি নেতারা বেশ কিছুদিন ধরেই ছিলেন হতাশ। তারুণ্যের জয়গানের ভিড়ে নতুন করে ফের স্থান পাবেন কিনা এমন শঙ্কা ছিলো অধিকাংশ সিনিয়র নেতারা। পদ পদবি থেকে শুরু করে সর্বত্রই ছিলো নবীনদের জয়জয়কার। সাবেক এমপিদের অনুসারীদের বড় একটি অংশই ধীরে ধীরে সরতে শুরু করে। যুক্ত হন নতুন নেতৃত্ব পাওয়া বিএনপি নেতাদের সাথে। তবে দেরিতে হলেও নতুন একটি সংবাদে আশায় বুক বেধেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির প্রবীণ নেতারা। স¤প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় পদ অথবা এমপি এমন একটি সিদ্ধান্ত সংবলিত সংবাদ। যেখানে বলা হয় বিএনপি বর্তমানে জিয়াউর রহমানের আমলে বিএনপি পরিচালনা নীতির পথে হাঁটছে। যেখানে এমপি হলে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন না। আর দায়িত্ব প্রাপ্তরা এমপি হতে পারবেন না। এর মাধ্যমে সরকার ও দল পরিচালনার মধ্যে সীমারেখা টানতে চাইছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনে দলের তরুণ প্রজন্মের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করবে বিএনপি। আর সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী, সাবেক এমপি এবং ২০১৮ সালের দলীয় প্রার্থীদের রাখা হচ্ছে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। সংবাদে বলা হয়, দল ও সরকারের কর্মকাÐের ভিন্নতা নিরূপণের চেষ্টা করছে বিএনপি। কারণ দলের অনেক সাংগঠনিক কাজ থাকে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এমপি-মন্ত্রীরা যদি আঁকড়ে থাকেন, তাহলে দল ও সরকার উভয়ের কাজে ব্যাহত হয়। তাই কমিটি পুনর্গঠনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের মহানগর ও জেলা কমিটির শীর্ষ আসনে পদায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে যেমন শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারবে বিএনপি। তেমনি দল পরিচালনায় দিতে পারবে দক্ষদের দায়িত্ব। ১৭ বছরে দীর্ঘ ত্যাগী নেতাকর্মীদের বড় অংশ তৈরি হওয়ায় সবাইকে মূল্যায়নের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া সামনের দিনে এমপি মন্ত্রীদের একক আধিপত্য কমে আসবে দলের ভেতর। বিএনপির একটি সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে যারা দলের সংসদ সদস্য বা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা দলের দায়িত্বে থাকতেন না। আবার কেউ একসঙ্গে মন্ত্রী-এমপি ও জেলা বা মহানগরের শীর্ষ পদে থাকতে পারতেন না। যদিও বর্তমানে রাজনীতিতে এই চর্চা নেই। কিন্তু দলের স্বার্থে জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি তারেক রহমান তার বাবার দেখানো নীতিতেই হাঁটতে চাইছেন। যার ছাপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যারা পদ পদবি পাচ্ছেন তারা হয়তো এমপির টিকিট পাবেন না। অন্যদিকে পদ পদবি না পাওয়া প্রভাবশালী ও প্রবীণ নেতারা পেয়ে যেতে পারেন নির্বাচনী টিকেট। এমন পরিস্থিতিতে উঠে এসেছে সাবেক এমপি ও ২০১৮ সালের প্রার্থীদের বিষয়টি। অনেকের মতে এটি ভাগ্য খোলার সুবর্ণ সুযোগ। নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে সাবেক এমপি আবুল কালাম, ৩ আসনে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল, ২ আসনে সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, ১ আসনে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান পেতে পারেন নির্বাচনী টিকেট। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তার বিষয়টি ধোঁয়াশা থেকেই যায়। বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যারা দল করেছেন, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এবার মহানগর ও জেলা কমিটিতে পদ না পেলেও তারাই দলে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের লড়াই-সংগ্রাম মূল্যায়ন করবেন তিনি। অন্যদিকে নতুন প্রজন্মকে আগামীর নেতৃত্বে তৈরি করতে পদ-পদবি দেওয়া হচ্ছে। এতে সমাজে নতুন শক্তির সঞ্চার হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা