আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:১৮

না’গঞ্জে চেয়ারম্যান শূন্য ইউনিয়ন পরিষদ

ডান্ডিবার্তা | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ সরকারের শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই মামলা, গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জনপ্রতিনিধিরা। পরিবার নিয়ে রয়েছেন আত্মগোপনে। এর ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে দেখা মেলে না ইউপি চেয়ারম্যানদের। এদিকে দীর্ঘদিনের শাসনামলে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ছিল আওয়ামী লীগ ঘরোয়া। এ কারণে তারা পট পরিবর্তন ঘটা মাত্রই তারা কোণঠাসা হয়ে যান। এর আগে অধিকাংশ সময় নির্বাচন থেকে বিএনপি দূরে থাকায় আওয়ামী লীগের নেতিবাচক প্রভাব ছিল ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের নির্বাচনগুলোতে। তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সময় ভালো যাচ্ছে না মেম্বার-চেয়ারম্যানদের। জুলাই-আগস্ট মাসে অসংখ্য ছাত্র জনতার মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হচ্ছে। এ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। সবার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড় তৈরি হয়েছে। এদিকে গত ১৯ আগস্ট সারাদেশে ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চার উপজেলা চেয়ারম্যানের এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কপাল পুড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ না ভেঙে দেওয়ায় তারা এখনো জনপ্রতিনিধি হিসেবেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কিন্তু তাতেও তাদের শান্তি নেই। সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মতো ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানদেরও পালিয়ে বেড়াচ্ছে হচ্ছে। গ্রেফতার থেকে রক্ষা পেতে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। অর্থাৎ চেয়ারম্যান থাকা না থাকা সবারই একই অবস্থা দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের কোনো হদিস মিলছে না নিজ নির্বাচনী এলাকায়। আবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী আমেজ শুরু হতো। তবে তখন আওয়ামী লীগের জয়জয়কার অবস্থা থাকলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। বর্তমানে তাদের পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের পাঁচ উপজেলার মধ্যে এক উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। বাকি চার উপজেলা পরিষদের নির্বাচন গত কয়েকমাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলায় মাহফুজুর রহমান কালাম, রূপগঞ্জ উপজেলায় মো. হাবিবুর রহমান, বন্দর উপজেলায় মাকসুদ হোসেন এবং আড়াইহাজার উপজেলায় সাইফুল ইসলাম স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। এই চার উপজেলার মধ্যে সোনারগাঁ এবং বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জমজমাট লড়াই হয়। পাশাপাশি চার উপজেলাতেই যে চার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন তারা চারজনই নতুন ছিলেন। অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস পেরানোর আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাদের। একদিকে অল্প কয়েকদিনেই ক্ষমতাচ্যুত অন্যদিকে হত্যা মামলার আসামি হয়ে তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। তারা বর্তমানে পরিবার ছাড়া রয়েছেন। যা নিয়ে হতাশা কাজ করছে তাদের মধ্যে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করতে অনেকটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে তা বলাই যায়। একদিকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত আরেকদিকে হত্যা মামলার আসামি হয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা শোচনীয়। যা নিয়ে হতাশা কাজ করছে তাদের মধ্যে। বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করতে অনেকটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে তা বলাই যায়। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আগামী মাসেই ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা