আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৩০

সদর-বন্দর আসন নিয়ে জল্পনাকল্পনা

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সদর-বন্দর আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন এসএম আকরাম। গত ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেছেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এ আসনটিতে বিএনপির যোগ্য প্রার্থীতার সংকট না থাকলেও জোটগত কারনে ওই নির্বাচনে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হোন এসএম আকরাম। সূত্রমতে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐকফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি। ঐক্যফ্রন্টে জোটভুক্ত হয় মাহামুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্য। সদর-বন্দর আসনটি দাবি করে নাগরিক ঐক্য। নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হোন এসএম আকরাম। নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশগ্রহণ করেন সাবেক এই আওয়ামীলীগ নেতা। ওই নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান বিএনপির সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি নাসিকের ৪ বারের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ওই নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্তির তালিকায় ছিলেন না মহানগর বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ড. তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনের মাত্র ৭ ঘন্টা পূর্বে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে তিনি একবাক্যে নির্বাচন থেকে সরে যান। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের সঙ্গে লড়াই মেয়র নির্বাচিত হোন সেলিনা হায়াত আইভী। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন চেয়েছিলেন এসএম আকরাম। নির্বাচনে দলের সমর্থন না পেলেও তিনি মেয়র আইভীর পক্ষে কাজ করেন এবং নির্বাচনের পরদিন জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন এসএম আকরাম। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের তৎকালীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির এমপি নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর এ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হোন এসএম আকরাম। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে এ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকারও। সেই লক্ষ্যে তিনি সদর বন্দর থানার প্রতিটা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগও করেছিলেন। এ আসনে ২০০১ সালে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হোন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। এদিকে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী নারায়ণগঞ্জে আর কোনো দলের নাই। এ আসনটিতে বিএনপি থেকে যদি নেয়া হয় তাহলে হেভিওয়েট প্রার্থীর তালিকায় সবার উপরে থাকতেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারই। যদিও তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তৃণমুল বিএনপি নামক দলে যোগদান করেছেন। তবে তৈমূর আলমের পথে হাটেননি তার আপন ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এ আসনে খোরশেদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও ভোট ব্যাংক রয়েছে। নাসিকের সর্ববৃহত্তর ওয়ার্ড থেকে ৪বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন খোরশেদ। করোনাকালে তার মানবিক কর্মকান্ড দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠে। এরপর আছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা। এদের মধ্যে মুকুল ও এটিএম কামাল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। যদিও তারা দুজন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেও বিএনপির কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন মুকুল। এটিএম কামাল আমেরিকায় থাকলেও সেখান থেকে তিনি বিএনপির হয়েই কাজ করে চলেছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। গুরু তৈমূর আলম খন্দকারের হাত ধরে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হন সাখাওয়াত। সাখাওয়াতের স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জ ও টিপুর স্থায়ী ঠিকানা চাঁদপুরের মতলবে। বহিরাগত দুজন বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও নারায়ণগঞ্জের মানুষের মাঝে তারা জায়গা করে নিতে পারেনি। তারা সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির দায়িত্ব পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির রাজনীতির বামদলে পরিনত হয়েছে। দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে তাদের নেতাকর্মীর সংখ্যা ও পরিসর। যে কারনে তাদেরকে নিয়ে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মী ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা