আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৪২

মৃত্যুর পরও ঝুলছে বেনুর মামলা

ডান্ডিবার্তা | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মো. সামছুর রহমান খান বেনু আজ দুনিয়াতে নেই। তিনি ৩ বছর পূর্বে বাধ্যর্কজনিত ও হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। বেনু খান ছিলেন ১/১১ এর লড়াকু সৈনিক। তিনি ওই সময় বিএনপির পক্ষ থেকে কঠিন ভুমিকা রেখেছিলেন। তার মৃত্যুর পর আজও ঝুলে আছে মামলা। গত ১/১১ সময়কালে সরকার যখন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমান, তৎকালীন বিআরটিসির চেয়ারম্যান এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে গ্রেপ্তার করে তখন বাংলাদেশের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় বিএনপির সকল নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যায়। বিএনপির পরিক্ষিত নেতা বেনু খান বসে থাকেনি। তিনি তার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জীবন বাজী রেখে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিএনপির বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। মানববন্ধন, ঝাড়– মিছিল, অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া ছিলেন ওলামাদলের নেতাকর্মীরা। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, তৈমূর আলম খন্দকারসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ছিল বেনু খানের। শেখ হাসিনা তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করেছে। পুনরায় তত্ত¡াবধায়ক সরকার আইন বহাল করার দাবিতে বেনু খান ওলামাদল নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গিয়ে ২০১৩ সালে কাঁচপুর মোড়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে বেনু খান মারাত্মক আহত হন। তখন তৈমূর আলম খন্দকারও সরকারের পেটোয়াবাহিনীর হাতে আহত হন। গত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এ সংবাদ পেয়ে বেনু খান একাধিকবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাত করেন। বহিস্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান করাতে না পেরে বেনু খান ব্রেনষ্টোক করে মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদ পুরো জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের জানানো হলেও তৈমূর আলমের স্ত্রী ও মেয়ে ব্যারিষ্টার মারিয়াম খন্দকার ব্যতিত আর কেউ আসেনি। ওই সময় তৈমূর আলমও ছিলেন দেশের বাইরে। অথচ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তির জন্য কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামাদলের সভাপতি বেনু খান, রূপগঞ্জ থানা ওলামাদল নেতা আলাউদ্দিন, নাদির মোল্লা, আমির হোসেন, রিমন। তাদের নামে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। যার নং ৭৮/১৮। আজও ওই মামলা চলমান রয়েছে। এ মামলা আর কতো চলবে। হায়রে রাজনীতি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা