আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | রাত ১:২২

পুলিশ সোর্স পরিচয়ে তাফালিং

ডান্ডিবার্তা | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিগত সরকারের আমলে তারা পুলিশ ও ডিবি ও র‍্যাবের ভয়-ভীতি দেখে নানা ধরনের অপকর্ম চালিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানেও তা নিজের মাঝে বিদ্যমান রেখেছেন। তিনি নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনও র‌্যাব কিংবা ডিবি পুলিশের সোর্স আবার নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে ভীতি সঞ্চার করাটাই যেন তার মুল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন আবুল হাসান ওরফে মাসুদ রানা। একাধিক সুত্রে জানা যায় যে, নিজে লাভবান হতে গিয়ে বিভিন্ন মানুষকে নাজেহাল করাটাই যেন তার মুল উদ্যেশ্যে। চিহিৃত ভুমিদস্যুদের সহযোগিতা করে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলটুকু হাতছাড়া করিয়ে উক্ত ভুমিদস্যুর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করা যেন নিয়মিত ভাবে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে তার এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম,আলাউদ্দিন ওরফে কালু এবং ভেস্পা রিফনও যুক্ত রয়েছেন। এইসব ভূমিদস্যুরা চাষাড়া থেকে সাইনবোর্ডের প্রতিটা এলাকায় এসব অপকর্ম এখনো ও চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে কোন সুরাহা মেলেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগী জানান, আবুল হাসান ওরফে মাসুদ রানা এক সময়ে পুলিশ বাহিনীতে কনষ্টেবল হিসেবে চাকুরী করতেন। নানা অনিয়মের কারনে তার চাকুরী বেশীদিন পর্যন্ত স্থায়ীত্ব পায়নি। এর থেকে তিনি র‌্যাবের সোর্স এর কাজ শুরু করে। পর্যায়ক্রমে সে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের সোর্সেরও কাজ করে যা বর্তমানেও রয়েছে। জেলা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্তাবাবুদের জন্য তেলচোর হতে শুরু করে বিভিন্নস্থান থেকে টাকা উত্তোলন করে সেটা তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়াটাই তার মুল কাজ। তার সাথে যুক্ত রয়েছে আনোয়ার নামে পুলিশের অপর ক্যাশিয়ার। বিভিন্ন অবৈধস্থান থেকে পুলিশের জন্য টাকা উত্তোলন করার সুবাদে নিজেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী ভাবতে থাকা আবুল হাসান ওরফে মাসুদ রানা যেকোন মানুষকে ক্ষতি করতে কোন দ্বিধাবোধ করেননা। ৩/৪ বছর পুর্বে নগরীর টানবাজার এলাকায় চাদাঁবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হলে সেখানেই তাকে তার হোন্ডাসহ আটক করে রাখা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে সেখান থেকে মুক্ত হন। নিজেকে প্রভাবশালী ভেবে আবুল হাসান ওরফে মাসুদ রানা শহরের আশপাশে গর্তে লুকিয়ে থাকা ভুমিদস্যুদেরকে সহায়তা করছে টাকা প্রাপ্তির আশায় এমনটাই বলছেন তার মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা। সাধারন মানুষকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করার অপরাধে আদালতে পিটিশন মামলা,ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ এবং অপহরন কওে অর্থ আদায়ের জন্য জোড়পুর্বক নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে দেয়া এবং সেই ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্যও থানায় অভিযোগ রয়েছে আবুল হাসান ওরফে মাসুদ রানাগং এর বিরুদ্ধে। অপরাধীর এ চক্র থেকে বাচঁতে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ জেলা পুলিশ সুপারের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা