আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:৪৮

না’গঞ্জে আ’লীগকে ডুবিয়েছে যারা

ডান্ডিবার্তা | ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বৈরাচার এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সদর-বন্দর আসনে বারবার সংসদ সদস্য হয়েছেন ওসমান পরিবারের তিন ভাই; নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। এদের মধ্যে নাসিম ওসমান ২০১৬ সালে মারা যান এবং শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান বেঁচে থাকলেও ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক। এমপি থাকা অবস্থায় এই তিন সহোদর আর তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠরা ভূমি দখল, চাঁদাবাজী, সরকারি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ বড় বড় দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে দুর্নীতি আর জালিয়াতির যেসব কৌশল ও খাত ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ থেকে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সেটির পেছনে জড়িত আছে আরো অনেকে। অভিযোগ আছে, নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দরবারে একাধিক কু-পরামর্শক ও চিন্তাবিদ ছিলেন। মূলত এদের বুদ্ধিতেই ওসমানরা টাকার পাহাড় গড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিম ওসমান যখন সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তখন তাকে অবৈধ ভাবে অর্থ উপর্জনের একাধিক রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিলেন লিয়াকত হোসেন খোকা যিনি পরবর্তীতে নিজেও এমপি হয়েছিলেন। বন্দর এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত তার সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ রশিদ, প্রয়াত জাপা নেতা আবু জাহের, সানাউল্লাহ সানু, আকরাম আলী শাহীন, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী ওরফে গিয়াস বেন্ডার, চাঁন মিয়া, বাসু, শাহ আলম ওরফে মুরগী শাহ আলম, সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, আজিজুল হক, প্রয়াত শ্রমিক নেতা কাজিমউদ্দিন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষাদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। এদিকে নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর ছোট ভাই সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে এমপি হন। তবে সেলিম ওসমান অপর দুই ভাইদের চাইতে অনৈতিক কর্মমান্ডে তুলনামুলক ভাবে কম জড়িত ছিলো। অথচ তার পেছনে থেকে অনেকে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। এই তালিকায় বন্দরে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি নেতাদেরও নাম রয়েছে। এছাড়া, ব্যবসায়ী নেতা খালেদ হায়দার খান কাজল, জাপা নেতা আবু জাহের, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এহসান, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজর আলী, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিকলীগ নেতা কামরুল হাসান মুন্না প্রমুখ। তথ্য বলছে, ওসমান পরিবারে সাবেক প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের আশপাশেও এমন একাধিক ব্যক্তি ছিলেন যারা প্রতিনিয়ত তাকে অবৈধ কাজে সহযোগীতা করেছেন। এদের মধ্যে সবার উপরের সাথে ছিলেন, যুবলীগ নেতা শাহ নিজাম, শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু, বন্ধু অনুপ কুমার, মজনু, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুর করিম বাবু, কামরুল হাসান মুন্না, হোসিয়ারীর সাবেক সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী হাজী ইয়াসিন, সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শাহজাহাল বাদল, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম, মীর সোহেল, ফরিদ আহমেদ লিটন, মীর হোসেন মীরু, সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ, বন্দরের খান মাসুদ, মদনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সোনারগাঁয়ের সমালোচিত আওয়ামীলীগ নেতা কথিত ইঞ্জিনিয়ার মাসুম আহম্মেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি প্রমুখ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা