আজ শুক্রবার | ৮ আগস্ট ২০২৫ | ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৩ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৭

দীর্ঘ সাত বছর পর মা-ছেলের মহামিলন

ডান্ডিবার্তা | ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর পরই আবেগের ঢেউ আছড়ে পড়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে। খালেদা জিয়াকে ঘিরে এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরে নামেন খালেদা জিয়া। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হতে পারে লন্ডন ক্লিনিকে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। তাকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। বিএনপির মিডিয়ার সেল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মায়ের দেখা পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী। বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হতে পারে লন্ডন ক্লিনিকে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর ৭ বছরের মধ্যে তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি। মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা ছাড়ে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। যেটি কাতারের দোহায় বিরতির পর স্থানীয় সময় সকালে লন্ডনে পৌঁছায়। লন্ডন পৌঁছানোর আগে প্রায় দীর্ঘ আট ঘণ্টার ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এদিকে খালেদার লন্ডন যাত্রা ঘিরে বিকাল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা গুলশানে জড়ো হতে থাকেন। সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানসহ বিমানবন্দরের পথে রাস্তার দুপাশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হন। চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে। আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কারাবাসের ২ বছর একমাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেন তাকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয়মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ। এতদিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসা এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েকদফা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেয়া হয় চিকিৎসা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা ছাড়াও রয়েছে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার সব ধরনের সুবিধা।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা